
শেষবার পোড়ার আগে,
আরো একবার পুড়েছিলি তুই।
একবারই? নাকি আরো কিছু বেশী?
আমরা তো খালি দেখেছি পোড়া শাড়ী;
ড্রইংরুমে, বিছানার চাদরে, হসপিটালের বেডে-
মে মাসের গুমোট রাতে, বা অঘ্রাণের প্রচণ্ড শীতে
আরো কতবার, কত রকমারি দহন হল
- সে গুলো আমাদের জানা নেই।
এইতো মাত্র কয়েকটা মাস গেলো।
"মা" "মা" বলে মেয়েটা অসহায় অপেক্ষায়
তোর মালা পরানো ছবিটার নিচে ছুটে যায়
- কাঁদেনা কখনো, খুব লক্ষীমন্ত।
তোর ভাই এই আশ্বিনের রাতে
তারাদের শরীরে অশরীর খোঁজে
যমের দুয়ারে যত দিয়েছিলি কাঁটা
সব তুলে নিয়ে, গুছিয়ে রাখে,
মেঘমালা পলকের সানুদেশ, আজো আর্দ্র।
বাবা - মা ভুল খোঁজে
মৃত্যুদিনে, জন্মদিনের ক্ষতস্মৃতি
চেপে ধরে রাখে - হাপুস বুকে।
তোর স্বামী, বিছানায় একলা হয়,
তারও তো বয়স কম, অভাবী ইন্দ্রিয়
ঘুমাতে যে পারেনা আর রাতে, অবশেষে
সেও, ধরা দেয়।
আরো এক নরম বালিশে।
হ্যাঁ আবারও, তোর ছবিতে ঝুল,
কালি - আগুনের।
আর আমরা! বাড়িয়ে যাই সহ্য ক্ষমতা
চুপ করে সয়ে নেওয়া সময়,
এটাই, এটাই তিতকুটে সত্যি কথা।
৪/১০/ ২০১৫
লেখক : u_10000000000219@ipatrika.com
পাঠক সংখ্যা : 983 জন
প্রকাশ তারিখ : Tuesday, October 20, 2015
রচনা বিভাগ : কবিতা
গড় প্রতিক্রিয়া :