পত্রিকা ছোট পত্রিকাদের মঞ্চ !
  • লেখা জমা দিন
  • লগ ইন
  • নিয়ন্ত্রন
    • পত্রিকা তালিকা
    • লেখক তালিকা
    • English
    • বাংলা
    • ভুল ভ্রান্তি
  • হোম
  • লেখা
  • প্রবন্ধ
  • দিলীপ ফৌজদার
প্রবন্ধ ২০ অক্টোবর ২০১৫ দিলীপ ফৌজদার Views: 1056
কল্পনা, কাল্পনিক অভিজ্ঞতা, বাস্তব ও কবিতার সাদা পাতা

এই সময়কার একজন কবি, তিনি বেশ জোরগলাতেই বলেন যে ভ্রমণ দিয়ে কবিতা হয় না। আরেকজন কবি তিনি কবিতায় বেশ সহজেই ভ্রমনের আলেখ্য লেখেন। পূর্বসূরীদের কবিতায় তো হাজার হাজার ভ্রমণের প্রসঙ্গ থেকে গেছে। শুধু তাই নয়, অনেক কবিই নিজের অভিজ্ঞতার প্রকাশে জানিয়েছেন তাঁর কোন ভালোলাগার কথা বা মনে রাখার মত কথাকে সঙ্গে সঙ্গে কবিতায় পর্যবসিত করতে চান নি ভবিষ্যতের খাতিরে। বাস্তব অভিজ্ঞতাপ্রসূত এই সময়গুলি কবিতায় এলে কি সেটা রূপান্তরিত হয়ে অন্য কিছু হয়ে যায় কিম্বা এটা কি বলা যেতে পারে যে সেই কবিতা কোন কাল্পনিক অভিজ্ঞতার ফসল? অথবা এই জায়গাটায় এসে কবিরা কি এই কথা বলতে চাইছেন, বরঞ্চ বলছেনও, তা হোল অলৌকিক যা অভূতপূর্ব, যা অবাক করে দ্যায় সেই অভিজ্ঞতাকে কবিতার আওতায় আনতে গেলে কবিকেও সেখানে থাকতে হবে কোথাও না কোথাও। ধারণার এই জায়গাটায় একটি বহমান তুলনা, ক্যানভাসের ছবি বনাম ক্যামেরার ছবি, একথা এসেই যায়। একটাই দেখা, একটাই ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন কবিতার জন্ম দেয়। এখানের মূল যে কথাটা তা হোল এই, যে কবি, তিনি সর্বক্ষণ তাঁর কবিতায় উপস্থিত থাকেন। এই থাকাটা কী রকমের?

ক্লাস শুরুর ঘন্টা পড়লে তুমি ও সে খুঁজে বেড়াও লেবুরঙ অক্সিজেন, দরজা-

ঘন্টার চৌষট্টি কলা। আর আমি আজও নিজের কপালে আগুন জ্বালিয়ে বুঝতে চেষ্টা করি

বৃষ্টির কি সত্যিই কোন রঙ ছিল।                   

                           ধীমান চক্রবর্তী : রঙ : জেব্রা পারাপার থেকে (২০১১)

এই কবিতার প্রথম লাইনেই ‘তুমি ও সে’ এর সঙ্গে ‘আমি’ টাও কোথাও আছে যেটা কবিতার খাতিরে খোলাখুলি আসতে পারেনি।

অনেকের রচনা (বা নির্মাণ/বিনির্মাণ যে নামই তার দিতে চাই) দেখি তার স্রষ্টা ঘটনের সঙ্গে সম্পর্কিত কবিতার জন্মকে জুড়ে রাখতেই তৎপর থাকেন, ঘটনটিকে কবিতায় বিলীন হতে দেন না। আবার অনেক কবি ঘটনগুলি কবিতায় পর্যবসিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতীক্ষায় থাকেন। ভ্রমণে যখন ভোগান্তির সময়টা দূরে সরে যেতে থাকে তখন সব কঠিন ঘাত-প্রতিঘাত, ক্ষুধার্ত মন বা পেটের গেরস্থালি পিছুটান, বিরক্তি-তিতকূটেপনা হাত পা শরীরের কাটা ছড়ার ঘায়ের সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে মিলিয়ে যায়। তখন আরেকবার জেগে ওঠে পাহাড়ের সঙ্গে, সমুদ্রের সঙ্গে, অচেনা বা জ্ঞানের আওতার আকুল ইচ্ছিত কোন দেশের সঙ্গে মেলমেলাপের কথা।

“আজ দুনিয়া বুকিং

পীচের যতটা সম্ভব আস্কারা

 

সব খুলে যাওয়ার আগে

বৃংহনের একটু পরে         

           জীপদাঁড়ালো”   -রূপয়েন্টঃসারাণ্ডা : কুয়াসা কেবিন : স্বপন রায় : জানুয়ারি ১৯৯৪

 

ভ্রমনবৃত্তান্তই। দেখার এই নান্দনিক অনুভূতির ভেতরের অনেকখানিই কাল্পনিক অভিজ্ঞতা।

 

মানভূমের একটা ছড়া শুনেছিলাম:

হাট গেইছিল দিদির জা

সে দেইখ্যেছে বাঘের পা

দিদি বইল্যেছে আমি শুন্যেছি

মরি বাঁচি ব্যুন বাঘ দেখ্যেছি

 

কেউ বলেছে তাই আমি দেখেছি, এটা কল্পনাই কিন্তু বাঘের শুধুমাত্র পায়ের ছাপ দেখেই ‘বাঘ দেখ্যেছি’, এটা তো কাল্পনিক অভিজ্ঞতা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।

এই ধরণের বাঘ দেখার কথা কবিতাতেও। কবিতার খাতিরেই। সে বাঘ কোন এক ‘মেঘলাদিনে দুপুরবেলা’ কোন কবির মনে এসে যায় সেটা কল্পনাই, কাল্পনিক অভিজ্ঞতা নয়। আরেকটি বিখ্যাত কবিতায় ‘হাঁসের গায়ের ঘ্রাণ/দু একটা কল্পনার হাঁস’এর ঘ্রাণটা নিঃসন্দেহে কাল্পনিক অভিজ্ঞতা যদিও সেটা কল্পনার হাঁসের।

 

কবিরা এককালে কবিতা লেখার জন্য কল্পনার আশ্রয় নিতেন-অন্তত ধারণা তাই ছিল। এই ধারণাতেও বেশ কিছু পরিমাণ কাল্পনিক অভিজ্ঞতা মেশান থাকত যেমন ফুল, পাহাড় পাখি বা আকাশের রঙের কথায়। আর প্রেম! সেখানে তো ছত্রে ছত্রে কাল্পনিক অভিজ্ঞতা যেটা কল্পনা বলে চালানর একটা জেদি প্রয়াস থাকত। একজনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ঘরকন্নাতেও টানাটানি, রেশারেশি, অধিকারবোধ ইত্যাদি নিয়ে অনুভূতির বৈচিএ্ দেখা যায় কবিতায়। একটাই ভোগ অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারে, তার ওপরে হাজার মেলামেশায় হাজার কল্পনা কবিতায় এসে বাসা বাঁধে। সেগুলোতে বাস্তব এসে গেলে কবিতা উবে যায় যেরকম ভ্রমণবৃত্তান্তে বাস্তব এসে গেলে তা আর কবিতার কোন কাজে আসে না। তখন সেটা ভ্রমণ আলেখ্য। প্রেমের কবিতায় বাস্তব ঢুকে পড়লে তাকে প্রেম কহানীই তো বলে। কবিরা তো অতি সহজেই ‘ভালো’র কাছে নতজানু সেখানে ‘মন্দ’ও আসে যার কাজ শুধু ‘ভালো’কে ফুটিয়ে তোলা। কবিতায় ‘মন্দ’ বলে কিছু সম্ভবত নেই যেরকম কবিতায় মিথ্যেরও কোন জায়গা থাকে না। “সৎ” কবির কবিতার ভেতরকার মিথ্যেগুলিকেও সময় এসে চিনে ফেলে ও সেই চিহ্নিত সময়ের পাঠক সে সমস্ত কবিতাকে আর নেয় না। এমন কি নতুন সময়ে এসে কবিতার পরিভাষাও বদলে যায়। এই “সৎ” এর পেছনে কি বাস্তবতার কোন চাহিদা থাকে? কবিতার “সৎ” বলতে বাস্তবিক সত্যটা, যেটা আইন আদালতের ভাষায় প্রমাণ করা যায়, সেটা একেবারেই জরুরি নয় এটা মেনে নেওয়া আছে। মহাভারতের ‘সত্য’র মত কবিতার ‘সত্য’ও রচনাটির মূল জায়গাটা অধিকার করে থাকে পাঠককে যেটা আহরণ করে নিতে হয়্, ইংরাজীতে যেটা between the lines এখানে সেটা between the storys বা between the narratives ।

 

এই প্রসঙ্গ থেকেই আসে কবির জ্ঞান ও শিক্ষাদীক্ষার প্রভাব নিয়ে বিতর্ক। অভিজ্ঞতাও তো জ্ঞান যেটা হয়ে দাঁড়াতে পারে কবির আপন জীবনদর্শন, অনন্য যদি হয়। একটা ঘটনই ভিন্ন কবির কাছে ভিন্ন অভিজ্ঞতার কারণ হতে পারে। এর বাইরের জ্ঞান আসে মেলামেশায়, অন্যের অভিজ্ঞতাকে আত্মসাৎ করাতেও। জায়গাটা চিনি, মানুষটাকে চিনি, তার অভিজ্ঞতা আমার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। বই সিনেমা টিভি এমন কি সঙ্গীত থেকেও জ্ঞানের ভাণ্ডার ভরে ওঠে । এ থেকেও কাল্পনিক অভিজ্ঞতা দানা বাঁধে কিন্তু এর প্রতিফলন কবিতায় তখনি হয় যতক্ষণ না এইসব অনন্ত নক্ষত্রবীথি একটা জ্যামিতি গড়ে। কবির জ্ঞানের একটা বড় উৎস কবিতাই। কবিতা একটা চলে আসা শিল্প, দেয়ালছবিদের মতো। সব কবিই কিছু নেয়, কিছু দ্যায়। কোন কবিই স্বয়ম্ভু নন যেমন কোন কবিতাও নয়।

প্রকৃতির অনেক অশুভ চিহ্নকে এখন অনেকটা ভিন্ন চোখে দেখে পরিবেশ সচেতন কবিরা। কাক, শকুন, সাপ, পথকুকুর এরা কবিতার কাছে এখন আর অশুভ নয়। বাঘ, সিংহ, কুমীর, কামট সহ যত প্রাণী এখন নিশ্চিহ্ন হবার মুখে তাদের হিংস্র ছবির প্রতি কবিতা এখন ক্ষমাশীল। জঙ্গলের, পাহাড়ের যে সব ছবি এখনকার কবিতায় দেখি তার অনেক অভিজ্ঞতাই আসে অভিজ্ঞতার কল্পনা থেকে। তবে হিংস্র বাঘকে সুন্দর বাঘ বললে কবিতায় খোলতাই হয় যেমন হয় কাককে পরিচ্ছন্ন পাখি বললে কিম্বা কুমীর, শকুনের ডিমকে ইনক্যুবেটারে ফোটানর কথায়। অনেক অভিজ্ঞতার কথাই কবিতায় আসে যাপন বা ভবিষ্যত চিন্তাকে জায়গা দিতে। এগুলি এলেও আসে মননের সুঁড়িপথে। এগুলি, মনে হয়, ততক্ষণ কবিতা হয় না যতক্ষণ কবিতার সেই ভাষ্যটি না ভাবায়। এই ভাবনাটা কবির মাথা থেকে অন্যের মাথায় এসে বাসা বাঁধে। অবশ্যই এখানে কবিতার অর্থ খোঁজার দায়টা আসছে না এই ভাবনাটা একটা সরাসরি এবং নীরব একটা কথোপকথন, কবির সঙ্গে অন্য আরেকজনের, তাকে পাঠক বললে কথাটা সম্পূর্ণ হয় না। সমঝদারের সঙ্গে বার্তালাপ ইশারাতেও চলে ভিন্ন আরো অনেক অবস্থাতেই।

প্রতি তলাতেই নিহত হয়েছিল বিপ্লবীরা এবং বেঁচেও উঠেছিল ফনফন কোরে।

কান পাতলেই শোনা যায় পর্বত শৃঙ্গ সালংকার বলছে, বিদ্যুৎমতিরা গাইছে।

এখানেই শ্রমিকরা ওয়াইফাই জোন জাঁকিয়ে চৈতালি রাতের স্বপ্ন ফুটেজ করে।

১৮তলার তিথিবাসনা : অলোক বিশ্বাস : ‘বাক’ আন্তর্জালপত্রিকা, জুন ২০১৫ 

 

এই কবিতাটির পংক্তিতে পংক্তিতে ঘটনের কথা কিন্তু কোন সংবাদমাধ্যমই সম্ভবত এর সাক্ষ্য বহন করে না। হ্যাঁ, এর কিছু কথা ইতিহাসের মান্যতাপ্রাপ্ত বাকীটা কাল্পনিক। সংসারের অনেক ‘সত্য’ই ইতিহাসে গিয়ে থিতোয়। ইতিহাসেরো অনেক কুঠুরি, নানান গুহাখোঁদল; সেগুলি সময়নির্বিশেষে কবিতায় চলে আসে।

কাল রাতে তুমি কিছু বেশি চাঁদমুখী কলঙ্কের কাছে নিজেকে বাঁধা রেখেছিলে আজ ভোরে নেতা ধোপানির ঘাটে মৃতের অদৃশ্য ছায়ার পাশে কিছু কম তুমিই শুয়ে আছ এই দ্বন্দ্ব মধুর কাল নিরসনে দেবী সব তল্পিবাহক  অনির্দিষ্ট ধর্মঘটে গেছে

‘দেবী’ : রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় : ফেসবুক, জুলাই ২০১৫

 

কিন্তু কেউ কি বলবে এই কবিতায় ব্যবহৃত ইতিহাসের ওপর কবির মতামত চাপান আছে, অথবা এতে কোন শোধন কিংবা বিকৃতি আছে! আমাদের ভারতীয় মানসিকতায় অনেক ইতিহাসই ধরা আছে গল্পগাথায়। সেগুলি চলে গেছে মানুষের মনে। মিথ। কবিতায় এলে সেসব কথাকে সে কবিতা আত্মসাৎ করে নেয়। ওপরের কবিতায় ব্যবহৃত সবকটি পুরোণো কথার ইংগিত কবিতাটির মূর্তিকে গড়েছে। কবিতাটি তার ফসল, পরিণতি, বিষয় নয়।

‘কবিতা’ নামক ধারণাটির স্বভাবসুলভ অস্থিরতা বা অপসৃয়মানতাকে কোন পরিভাষাই একজায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখতে পারে না। এইভাবেই চলতে থাকে কবিতার অস্থিরতা ও নিরন্তরতার চক্রীয় প্রণালী। ফিজিক্সের স্ট্রীং থিওরির মতো কবিতার স্ট্রীং থিওরিতে এলে আমরা এই চক্রীয় প্রণালীকে দেখি প্রকৃতিতে, - ঋতুচক্রে বা জলচক্রে –পারিবারিক বা সামাজিক পরম্পরায় এবং যাপন বা ভোগান্তির বিভিন্ন স্তরেও। সময় এবং তারই অনুষঙ্গে তাবৎ দুনিয়ার বা আপন আপন যাপনের পরিবেশ বদলে যাওয়া -climate change এরই মতো ব্যাপার একটা – এটাই বাধ্য করে কবিতার পরিভাষাকে বদলাতে। আমার মতে, কবিতাকে একটা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন চোখে দেখা এটা বেশ একটা জরুরি জিনিস। কবিতার সদ্য সময়ে বসে তার মূল কিছু সর্তকে ভুলে গেলে অনেক বেনোজল তাতে ঢুকে পড়ে।

 

আজকাল এই সময়কার হাইস্পীড কবিদের অনেক কথোপকথনে ঢুকে পড়া যায় অনায়াসে সোচ্চার ভাবনার ছড়াছড়িতে। এর জন্য আড়ি পাতার অনেক উপায়, অনেক পদ্ধতি ফেসবুকে, মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সুবিধাসেবায়। গোপনীয়তার জায়গা কমে আসায় ভাবপ্রকাশে রাখঢাক বলে কিছু নেই। এতে কবি অকবি দুগোষ্ঠীই আছেন, সচেতনরাও আবার অবোধরাও। অস্যার্থ, এই সোচ্চার গভীরতার চিন্তাজটে কবি আছেন যিনি সচেতনভাবে জানেন তিনি কবি আবার তিনিও আছেন যিনি সচেতনভাবে জানেন তিনি অকবি তেমনি আছেন কবি যিনি জানেন না যে তিনি কবি আর এমনও আছেন যিনি নিজেকে জানেন কবি বলে অথচ তিনি কবি নন। এতে মনে হয় এই সময়কার গতির সঙ্গে কবিতার গতির একটা সংঘাত বেধেছে অথবা সেই সব কবিরা নিজেদের কবিতার সঙ্গে এই সময়ের তালকে আর মেলাতে পারছেন না। যেন একটা তাড়াহুড়োর ভেতরে পড়ে গেছেন।

 

যে কবিরা ‘আধুনিক’ শব্দটায় বা তারই প্রতিশব্দে হাজার বিশেষন জুড়ছেন ‘আধুনিক’কে বোঝাতে তাঁদের অক্ষমতা আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেকটাই স্পষ্ট চোখে। আজকের এইসব কবিতার চেহারা খুঁজে বেড়ানর অভিযানের পথে পড়ছে এসময়কার প্রগতির চিহ্ণগুলি যেগুলি বদলে যাচ্ছে এক অপরিসীম দ্রুততায়। আর ‘আধুনিক’কে যে কবিরা ‘আন্দোলন’এর শেকলে বাঁধতে চান তাঁরা জেদের আড়ালে এর বিড়ম্বনাকে দেখেন না যা অপেক্ষমান। যতদিনে ‘আধুনিক’নামা এই ধারণা কবিদের বোধের পরিধিতে আসে ততদিনে কবিতা আরেকবার বদলে যায়। এটা এখন আরো ত্বরণ পাচ্ছে যেহেতু এখন যোগাযোগের উপকরণগুলি ব্যাপক এবং বহুল। কবিরা এগুলিকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে সময়ের অভিঘাতকে মুখোমুখি লড়াইএর এক আখাড়া বানিয়ে নিচ্ছেন। কবিতা তার সরলতর চেহারায় থাকতে চাইছে না। তবে সুখের কথা অনেক কবিই, এই দুর্দিনেও সরল ভাষাশব্দকে কবিতার অভিব্যক্তিতে নিয়ে আসছেন।

 

আমার চোখের উপর তুমি এই খুলে রেখে দিলে আরেক জোড়া চোখ আর আঙ্গুল রাখলে খুব

কিনারায়। মনে হলো, যে অবাক বাতিঘরের জানালা থেকে পলকহীন উড়ে আসছে এই অনর্গল

টুনি বাল্বের ঝাঁক তার প্রতিটি শার্সিতে শার্সিতে লেগে রয়েছে অবিশ্বাস্য সব ছবির কসরৎ আর

লেন্সবিভ্রমে আলগা কাত হয়ে শুয়ে আছে আমার অনেকটা বিয়াল্লিশ প্লাস ….             

শমিত রায় : অপ্রকাশিত পত্রাবলী; ফেসবুক, আগস্ট ২০১৫

 

আমার ধারণায় কবিতার আধুনিকতা, বাস্তব জগতের ওপর ভাসন্ত একটা দার্শনিক ধারণা সেটা যে চলমান বা সমসাময়িক যাপনধারায় বা life styleএ, এসেই যাবে, তার কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে না – এটা সিনেমা এ্যাকটরদের ক্ষেত্রে দ্রুত ঘটে –কবিতায় এই transformationটা ভেতরকার। প্রতিটি সৎ কবির প্রয়াস থাকে স্বপ্নিল বা বিমূর্ত এই আধুনিকতাকে কবিতায় নিয়ে আসার। এই প্রসঙ্গেই, এবং অবশ্যই, এটা কবিসুলভ লাগে না যেখানে কবি কবিতায় খুব দিলখোলা, সপ্রতিভ. সাবলীল অথচ ব্যক্তিজীবনে ক্ষুদ্রমনা, রক্ষণশীল ও অন্ধবিশ্বাসগ্রস্থ।

 

লেখক : দিলীপ ফৌজদার

পাঠক সংখ্যা : ১০৫৬ জন

প্রকাশ তারিখ : ২০ অক্টোবর ২০১৫

রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

গড় প্রতিক্রিয়া :



Similar Contents

আমার প্রথম প্রবন্ধ

লেখক : পীযূষকান্তি বিশ্বাস | প্রকাশ তারিখ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

বিশ্বনাগরিক ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস

লেখক : মিঠুন চাকমা | প্রকাশ তারিখ : ৩০ নভেম্বর ২০১৫ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

বাংলা নাট্য আন্দোলন ও দিল্লি

লেখক : Sailen Saha | প্রকাশ তারিখ : ২৭ অক্টোবর ২০১৫ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

কল্পনা, কাল্পনিক অভিজ্ঞতা, বাস্তব ও কবিতার সাদা পাতা

লেখক : দিলীপ ফৌজদার | প্রকাশ তারিখ : ২০ অক্টোবর ২০১৫ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ
From same author

লিটল ম্যাগাজিন সাহিত্যের আঁতুড়ঘর নয় – একটি সাক্ষাৎকার

লেখক : লিটল ম্যাগাজিন সাহিত্যের আঁতুড়ঘর নয় – একটি সাক্ষাৎকার | প্রকাশ তারিখ : ৩০ জুলাই ২০১৭ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

লিটল ম্যাগাজিন সাহিত্যের আঁতুড়ঘর নয় – একটি সাক্ষাৎকার

লেখক : লিটল ম্যাগাজিন সাহিত্যের আঁতুড়ঘর নয় – একটি সাক্ষাৎকার | প্রকাশ তারিখ : ২৮ অক্টোবর ২০১৫ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

চলো, আবার হাঁটি

লেখক : চলো, আবার হাঁটি | প্রকাশ তারিখ : ২৬ অক্টোবর ২০১৫ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

অনুপম কে লেখা দিলীপ ফৌজদারের চিঠি

লেখক : অনুপম কে লেখা দিলীপ ফৌজদারের চিঠি | প্রকাশ তারিখ : ২৩ অক্টোবর ২০১৫ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ

কল্পনা, কাল্পনিক অভিজ্ঞতা, বাস্তব ও কবিতার সাদা পাতা

লেখক : কল্পনা, কাল্পনিক অভিজ্ঞতা, বাস্তব ও কবিতার সাদা পাতা | প্রকাশ তারিখ : ২০ অক্টোবর ২০১৫ | রচনা বিভাগ : প্রবন্ধ
আপনি আপনার নিজস্ব পত্রিকা বের করুন, যতখুশী সংখ্যা বের করুন, যতখুশী লেখকদের এক জায়গায় স্থান দিন, সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন !
আপনার পছন্দের ভাষা : [ বাংলা ] ভাষা পরিবর্তন করুন : [ English | বাংলা . ]

আরো লিংক : Home | About | Contact US | Term & Conditions | Privacy | Clear cache


© ২০১৪ , আই পত্রিকা, জেনটেলিসেন্স ইঙ্ক !