চেম্বার সংগীত



 








 


১.



ডিম থেকে ভেঙে গেছে সংক্ষিপ্ত জীবন

যে ঘোড়া তাল জানে না তার ক্ষুর তৈরি করো তুমি

এমন বিভীষিকা আসলে খদ্দেরের মতন

যার তলদেশে আমি বানিয়েছি ঘষে যাওয়া অস্ত্রোপচার

তবু কেন সহিষ্ণু হলে না!

মাদি হর্ষাদ থেকে কেন খুলে নিলে না চাকার সমর্থন

আমি জানি এ খেয়াল তোমার নেই

আমাদের পুরোনো ঘরে অনুগামী হয়েছে

স্বপ্ন জঠর



২.

পাপড়ির খেয়ায় একা বসে আছে

খোসা ছাড়ানো রসুন

জীবন বলে যে কাহিনি তুমি ঘেঁটে দিয়েছো

তার চেম্বার মিউজিকে খেলছে জয়েসের বাজনা

নূপুর ফুরিয়ে গেলে যাঁরা খুঁজেছে গ্লাস

তাঁদের অক্ষরে আলোটা নিভিয়ে দাও

বর্ণবিপর্যয় মানে কথা হারিয়ে যাওয়া নয়

হারিয়ে যাওয়া মানে কথা খুঁজে নেওয়া নয়



৩.

আস্তে সরে যাও

পাঁজরের ভিতর ঘাস নিয়ে কল্পনা করেছি আমি

সত্যিকারের বসন্ত চিড়ে গেলে রঙ থাকে না

লাঞ্ছনা দেখে মানুষ কি বুঝেছে কোনোদিন

উড়ে যাওয়া এক প্রাদেশিক পন্থা

জিরিয়ে রাখো ফাটা চামড়া থেকে

থকথকে লালমুখ

দুধের বোঁটায় মুখ দিয়ে দ্যাখো

মায়ের শুকিয়ে যাওয়া দেহ

যে ইট ভাঙছে প্রসবের ভিতর

তাকে নাম দিয়ে দাও

নষ্ট বাচ্চা



৪.

জেংগীল পাখির আর্তনাদের ডানা

কুহু থেকে ভাঙিয়ে নিয়েছে এক কমলকুমার

সক্ষম হতে হলে পাঠক থেকে দূরে যেতে হয়

সুঘরাই তোমার পাখি ছিল

আমার হাতে রয়েছে

ঠোঁট আর মাংসের প্রভেদ

যেখানে অকালে শুকিয়ে গ্যাছে

আঙুরের ক্ষুদে

সেখানে তাতানো ব্লেডে তুমি দাগাও

অপারিবারিক রান্না