উৎসব






থাকে। আর তাই। কুড়িয়ে কুড়িয়ে কণা। উৎসব। বেঁচে থাকার। গড়িয়ে গড়িয়ে। ছিন্ন হাত পেরিয়ে পেরিয়ে। গলি ভাঙতে। অন্ধে। আগল এড়িয়ে। ভাষার দর্প দাপিয়ে। ছোট ছোট পাতাজলে। জলের করুণায়।




পরিত্রাণ




আমার সকল মাধুরী। এইখানেই দরজা খুলিল। উপক্রমণীয় সম্ভাবনা। তুমি কৃপণ অদ্যাবধি। শরত না দেখ তুমি! তোমার মৃত্যুর মুখে জল। আর ফিরিব না। দেখি, এই আবহমান, সবুজবাগ, ভাঙা মাটি। দরজা ক্রমে অসহজ। চাবিকাঠি? তাহার জন্য কি বরফ ভাঙিতে! শিশ্নে তাহার রক্ত। তোমার? দরজার ভয় ছিল না? কেবল বৃন্তে লালন উজ্জ্বল! এই যে এক হইতে অপরে, স্মরণে রাখিও, বসন্ত এবং বহু ছন্দের শব্দ অতিক্রম করিয়াই। উপরনীচ কেবল আপাত। চাবিকাঠি? এ প্রকারেই বিরহ!




সুতোসব




দরজা বলিয়া কিছু জানি। তাহা পাকঘর অথবা ঠাকুর। এ ব্যতীত এক ‘টুকু’ আছে। সংশয় সেখানেই। মা অথবা বাবা, মনে মাত্র। মিথ্যা বলিয়া সুতোসব তুলি। তুলি, সামান্য, ঘোড়ার লেজের এবং ভাবিতে থাকি, দরজা। সাদা, কালো, ধূসর। অনুসন্ধানে থাকি। তোমার পা দু’টি আপাতত। একবার রঙিন করি, অনুমতি দাও। যদি সঙ্গ পাই, যদি আবিষ্কার। বিজনে, সারসের অপরূপ অধিবাসে।




অন্বয়




টমেটোর সহিত এই অন্বয়, বহু দশকের পর, অপ্রস্তুত ছিলাম। বস্তুত জনসংযোগের কথা। বর্তমান কমলালেবুর সহিত। অনুবাদে, সংগমে। শব্দ দ্বিতীয় হইল না উচ্চারণে ওই। রাত্রি, অতএব। সে এক ভারচ্যুয়াল সিম্ফনি। নৈঃশব্দের। রক্তের। তাহার অপূর্ব। দেখিলাম এমন প্রতিভা। সন্তরণের। দর্শনের। অদূরেই সামান্য লইয়া এই ভোর। অপেক্ষায়। দুই হাতে মায়া। মত কিছু টের পাই, তৃষ্ণার। অথচ টমেটো অথবা অবিষ্মরণীয় কমলালেবু, সেই ক্ষনে নির্বাক। কোথায় যাইব? রহিল কোথায়!




হারানো আঙুল






এই বুনন। কিছু অন্তর। সরু, তীক্ষন,তীব্র। দু পাশেই টানটান। সুরভিত। ছিঁড়িলেই বেদন। হিচকক। ওই সেই হারানো আঙুল। আন্ধার। নৌকা। ঘরের ডাক। যাহা যায়, যায়। বোধ করি, সরসীতেই।




ছন্নছাড়া




অবিনাশের স্বপ্নে রূপকথা। আগুন জ্বালাই। আকাশ। যায়। দেখি, মেঘের পিঠে। সেও অভিলাষ করে। যেহেতু যেহেতু যেহেতু। শব্দ খুব উঁচু হয়ে উঠুক। রমণ উচ্চকিত হোক। আড়ালে আড়ালে আড়ালে। আলপথ ভালোবাসে দুধখরিশ! ঐ উঁচু জুড়ে! বিনাশের অভিপ্রায়ে। ছন্নছাড়ার বিসর্জনে ন’জন। নক্ষত্র ক্রমশ নিচে। আমার মাবাবামাসি কেউ নক্ষত্র নন। সবাই @ ভুলো পথ।






প্রত্ন




অনতিক্রম্য এই সাদা। অনভিপ্রেত, তথাপি প্রত্যহ। ঈশ্বরহীন এই বাতাবিলেবু যথা। কোথাও এক অপেক্ষা। প্রত্ন আখ্যায়িত। তাহার পাঁজরে ব্যথা। ছন্দচ্যূত, ছন্দপতনেই অবিরাম। কোন আনন্দ নাই, কেবল উচ্চারণ। সাদার দিকে। সাদায়। ডাকিতে ডাকিতে। আলোহীন। মুছিতে থাকি। পাথর, পুঁতি, মঞ্চ এবং চিহ্ন। কোন পথ? শেষ কোথায়! অবলম্বন? মা!




অলিভপাতা




এই দর্শনে চাকা আছে। ভুয়োদর্শন নহে। আলো এবং লুকোচুরির গল্প। এমন কি অনন্তেরও হইতে পারে। বৃষ্টির। সমবায়ের। কাহার যে কোথায় অঞ্চল! বলিতে পারি, আবার না-ও। যেমন পাখিদুটির মুখ ছিল সান্ধ্যভাষায়। আমার চলন কেবল ভয় হইতে ভয়ের ঘরে। টুকি শব্দেই ভ্রমবশত স্নানঘরে। সরস্বতী স্নানরতা। আর? তাৎক্ষনিক একটি অলিভপাতা মনে পড়ে। অথচ ভয় তাহাকে ঘিরিয়া ঘিরিয়া লেলিহান। আর