তুলসী কর্মকার
লেখক / সংকলক : তুলসী কর্মকার
ফ্যানভাত
তুলসী কর্মকার
কিছু কথা গুটিগুটি পায়ে হাঁটে
শরীর মনকে থামতে দেয় না
আগুন জ্বালাতে পারা একটি আর্ট
না বলার দলে তুলি
অভিব্যক্তি সম্বল
টিকালো নাক ডাগর চোখ
ইচ্ছে পোষণ করে দেখা যাক
ভাবতে ভাবতে অভাব ঘন হয়
শরীর শক্ত কাঠ
ছুঁয়ে দেখে সময়
উনুনটা জ্বলেছে
সাব্বাশ!
খিদে কবলিত এলাকা
চাল জল নাচে আপন ছন্দে
বাতাসে দুরন্ত সুবাস
ঠোঁট স্যাঁতসেঁতে
নিশ্বাস ঘনিভূত
ঘন্টা বাজে
গা বেয়ে মাড় গড়িয়ে যায়.....
মূলদেশ
কিছুটা সভ্যতা পেরিয়ে মাংস রক্ত অস্থি
সেখানে আমি'র বাস
একাধিক ভাস্কর্যে আনত প্রোটিন
সংকলন গ্রন্থিতে আবদ্ধ
তাঁরা সব আমি'র সংস্করণ
ছোটো ছোটো আশকারার দাস
ভাইব্রেশন
ভূতে বিশ্বাস আছে?
কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে সম্মতিসূচক হ্যাঁ
রে রে করে বিদ্রুপাত্মক কুসংস্কারাচ্ছন্ন আখ্যায়
হাসির রোল পড়ে
উপেক্ষা অতিক্রম করে অভিব্যক্তি প্রকাশ
সে এক নিরিবিলি গোয়াল ঘরের কথা
প্রায় দুপুরে এক ছেলে এক মেয়ে যৌন খেলা করে
ওইখানে ঢুকলে উত্তেজনা হয়
ধূ-ধূ প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছে বেওয়ারিশ কাশমিল্লা
যে গাছে দুজন আত্মহত্যা করেছে
একাকি কিছু ভাবলে হতাশা দোলা দেয়
পূর্বদিকের ঘরটি বেশ প্রিয় সেখানে নিয়মিত ঘুম হয়
ঘর বদল হলে সহজে ঘুম আসে না
গাছতলায় নির্জন মনসা মঞ্চ
জনমানব শূন্য
কেউ আছে কিছু আছে ভাবা হয়ে যায়
গভীর রাত নির্জন কবরস্থান
ভায়োলেন্স ছড়িয়ে আছে
পাশকাটিয়ে যেতে বুক ধক করে
এক পরিত্যক্ত বাড়িতে রাত কাটছে
গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায়
মনে হল কেউ উঠানে বসে কাঁদে
টর্চ জ্বালিয়ে দেখা কিছু নেই
ছন্নছাড়া ঘুম
সকালে গ্রামের লোক জানিয়ে যায়
এবাড়ির এক যুবক ক্যান্সারের যন্ত্রণায় টানা দু বছর রাত্রিতে খুব কাঁদত
এই সকল মিরাকল মনোনীত ভ্রম
যা কেবল একা অনুভব করা যায়
অতিরিক্ত মানুষ হলে কম্পাঙ্ক বদল হয়
ঘরের জিনিসপত্র সরে গেলে তরঙ্গ বদলে যায়
অনুকম্পন মিসবিহেব হলে পাগলামি আসে
অনুকম্পন ইচ্ছের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম
সময়ের সাথে পরিবেশের পাটিক্যাল ভাইব্রেট হয়
শ্রাদ্ধ শান্তির ক্ষেত্রে
নতুন বাড়িতে মন্ত্র অর্চনা ইত্যাদির
অনুকম্পন ঘরকে আবিষ্ট করে
দেশ বাড়ির সাজ
পুরনো প্রেম
বদল হয়েছে অনেক কিছু
কিন্তু কম্পাঙ্ক বাতাসে আছে
মনে সেজে আছে সুদূর ছেলেবেলা
লেখালেখিতে ভূত আছে
আছে রঙমহল
অক্ষর ড্রাম হয়ে বাজে
যার বিট পাঠককে ত্বরান্বিত করে যায়.....
অপেক্ষায় জোয়ারের...