পা 



১ 

বড় শক্তিশালী, মনোহরা রক্তে গড়া। না পেট্রোল না ডিজেল তবু মাইলের পর মাইল 

না বুলেট না ব্যালটমিটার, হাজার হাজার কিলোমিটার, কলকল মৃত্তিকা নিজস্ব গাছখণ্ড 

অই পা দুটি আসলে দৈবিক বাস্তুতন্ত্র। রুগ্ন ভারতবর্ষকে শেখাচ্ছে মজবুত শিরদাঁড়া 

২ 

প্রণাম যদি জানাতেই হয় 

ক্ষমা যদি চাইতেই হয়, চাও অই পায়ের কাছে। দাস-দাসী অধ্যুষিত রাজ্যপাট  মুদ্রা তহবিল কিছুই নয়।  

তবু, ওর সামনে নত করো চোখ। নত হোক মাথা, কারণ  ওরাই পরিচ্ছদহীন ভারতবর্ষের লক্ষ্মীমন্ত পা 

৩ 

আঁকতে চাই কবিতা। চোখের সামনে ভেসে ওঠে পা 

লিখতে চাই প্রকৃতি। কলমের ভাষায় কিছু নাই, শুধু পা 

ঘুমোতে চাই,  স্বপ্নের মধ্যে একজোড়া পা চালায়  রেলগাড়ি 

চাকা, ঠিক যেন রুটি

চাকতি ফেটে গলগল গমধানের কোয়া 

৪ 

পা নয়, তির 

বিঁধবে এমন স্বরে গায়ে-গতরে  

যেমন মৃত্যুর ফতুয়া জড়ায় তক্ষকের আত্মা

পা নয়, চিতাগ্নি। পরাবে শ্মশান 

পা নয়, ইস্কুল। পড়াবে শিশুশিক্ষা 

৫ 

ঘরে ফিরতেই হয়, ঘরে ফেরাই নিয়ম। তুমি ঘরে ফেরো, আমিও ফিরি 

মাননীয় বিচারপতি, আপনিও। এমনকি প্রত্যহের আকাশ, সন্ধ্যাঘন নদী 

এমনটি নিয়ম। হে বিচারপতি 

তাহলে পরিযায়ী পাখিরাই স্রেফ ডানার অভাবে? 


৬ 

বলেছিলে। সব্বাই ধন পাবে মান পাবে। নক্ষত্র আর তারাদের জৌলুসও পাবে। 

এখন দেখছি,  সৌন্দর্যহীনতায় ভুগছে আবহাওয়া। 

 ঘুন ধরেছে পাখিশহরে, নিভছে জোনাকির গাঁও। ইন্দ্র অগ্নি বরুণ জ্বরগ্রস্ত, জরাগ্রস্ত হয়েছেন ব্রহ্মদেব। 

তুমি যে চিত্রকল্প এঁকেছিলে, কিছুই হয়নি। কারণ তুমি মানুষের অন্দরে মানুষের প্রবেশ রাখোনি  খুলে