কৌশিক সেন
লেখক / সংকলক : কৌশিক সেন
বিচ কার্নিভ্যাল
কৌশিক সেন
খুলে রেখো সামুদ্রিক অন্তর্বাস। স্ট্রিং বিকিনির সবুজপাতায় কর গুণে সাজিয়ে রেখো ঝিনুকের গান। ভেজাবালিতে ভেবে রেখো না’লেখা মালবিকাগ্নিমিত্রম। দেখো, পলি জমে উঠেছে দূর মেঘের পরতে।
জানি, জোয়ার আসবে একদিন। বালুকাবেলায় ভিড় জমাবে জেলে নৌকার দল। পর্যটকরা ফিরে যাবে হোটেলের বেডরুমে। শুধু তোমার নাভিতে ট্যাটুর মত জেগে থাকবে প্যাসিফিক মারমেইড।
আলো জ্বলে উঠছে জলোচ্ছ্বাসে। কার্নিভ্যাল যেন! বিয়ারের বোতল খুলছে কেউ কেউ। ফ্যানায় উপচে পরছে তট। স্ট্রহ্যাটের ছায়ায় সূর্যাস্ত দেখছি আজ। মিলনান্তক সন্ধ্যার প্রস্তুতি নিও তবে! শঙ্খচিল উড়ে আসুক স্যাক্সোফোনের ঝর্ণায়।
ধূসর স্তনের ওপর ওই বুঝি আলোর প্রপাত। ওয়াচটাওয়ারের ফ্লাডলাইট বুঝি! বিভঙ্গিমায় উদ্ধত হয় নিষ্কলুষ রাত। তবে সরিয়ে রাখো ওই সনাতন পলিমাটি, নিস্তব্ধ মেঘের স্যান্ডডিউন। গ্যালাক্সি ঝাঁপিয়ে পড়ুক আকণ্ঠ সমুদ্রস্নানে।
প্যাডেড ব্রা
একটা একটা করে আস্তরণ তুলে দেখছি, মেঘ নেই। বক্ষ আবরণীর ভিতর পাতলা শলাকার দেশ। মোমপালিশের দাগ। হ্যান্ডবাটিকে ঘূর্ণায়মান বৃন্ত। অশান্ত। টলমল করছে দুপুর রোদ। পোশাক খুলে কে যেন ছুটে গেল কলঘরে।
ঝমঝম শব্দ। যেকোনো সময় গ্রেনেড হামলা হতে পারে। সমুদ্র ফুঁসছে, সেই কবে থেকেই। স্পঞ্জের ভিতর কারা যেন বনফায়ার জ্বালিয়ে রেখেছে। করতালির শব্দ। পতঙ্গ পুড়ে যায় অকাতরে। জোনাকিতে ভরে যায় অমাবস্যা।
সবুজরঙের দিন। ফেরেস্তারা আলো জ্বালিয়ে গেছে বনমহুয়ার তেপান্তরে। চোখে স্বপ্নঘোর। এক একটি বিন্দুতে এক একটি ধ্রুবতারা। ওকি বৃন্ত, নাকি দুগ্ধপ্রপাত! দুচোখে বিষপিঁপড়ের ভিড়। ওকি আলো, নাকি শেষরাতের কোলেস্টাম!
মেঘ নেই। নিভৃত বালাপোষে আদুরে বেড়ালের আস্তানা। যুদ্ধ কি থেমে গেল তবে! সঞ্জয় বলো, আর কয়টি মায়ের বুক খালি হতে বাকি আছে এখনও! বলো, পাহাড়ের কোলে এখনও কি মেষপালকেরা বাঁশি বাজায়!
হেলিপ্যাডে অবতরণ করে অলৌকিক চিনুক। স্তম্ভনে জেগে ওঠে রক্তপলাশ। পোষ্য কুকুরটি ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ঘুমিয়ে পরেছে নষ্টমহাকাব্যের পাতায়। শেষ আস্তরণটি খুলে ফেললাম এইবার।