সহোদরা

ইন্দিরা দাশ





“টিফিন দিয়েছে?”, “তোর চেয়ে বেশি”

“তা কেন হবে রে, পাজি রাক্ষুসী?”

“রুমালটা কই!” “তুই তো হারালি”

“আজ স্কুলে লেট” “সত্যি, মা-কালি”!

“বাড়ি ফিরে শোন্‌, আমি স্নানে যাব”

“শরীর খারাপ, দাঁড়িয়ে কাটাব!”





“ছোড়দা’র বিয়ে, বউদি’র ভাই”

“চোখ মেরেছিল আই-আই-টি তাই?”

“চিরুণী নোংরা” “ধুয়ে তো দিলাম”

“কাল পাকা কথা”, “ছবি দেখলাম”

“টিপের পাতাটা, দুটো লিপস্টিক

তোকে দিয়ে যাই” “মেখে নেব ঠিক”।



“আদর করল?” “ঐ একরকম


আসছে ফাগুনে, তোরও এরকম” 


“শাশুড়িটা ভালো, বড়-জা গরম” 


“পেটের’টা নড়ে?” “রাতে কিছু কম” 


“ববি ইস্কুলে একা একা যায়? 


আমারটা ভীতু, আজও ভয় পায়”।  



“মাসে হয় না কো, টুসু বি-এ পাশ”

“এ বয়েসে হবে, সয়াবিন খাস্‌”

“বাবা’র পরেতে, মা’ও ছবিখানা”

“বৌমা সিজার, নাতি’র বিছানা”

“বড়ি-সুক্তো’টা সেই কাঁথাফোঁড়

ভুলে ভুলে যাই ,মনে আছে তোর?”               





“আজকাল তোকে, মা’র মত লাগে

আয়নায় ও তাই”, “দেখিনি তো আগে!”



পাখি খুনসুটি, পাখি ফল খায়

পাখি হুটোপাটি, পাখি উড়ে যায়।