গাজন গম্ভীরা

সৈয়দ কওসর জামাল





দূর চৈত্র হাওয়া থেকে ভেসে আসে গাজন গম্ভীরা

নিরন্ন দিনের শেষে তবু এই গান   

সন্ধ্যা-মরীচির মৃদু আলো হয়ে ছড়ায় চৌদিকে

শোনার জন্যও যতটুকু সচেতন থাকা প্রয়োজন ছিল

যতটুকু সুরের বিস্তার, আমি তার সামান্য শ্রবণ

              তুলে দিই মনোযোগী বর্ণিনীর কাছে

দর্পণে প্রতিফলিত মায়াবিভ্রমের কাছে তার

পর্যদুস্ত শঙ্খিনী কলম  

কঠোর সংযম থেকে চড়ক-সন্ন্যাসী ফিরে চায়

যদি তাকে বলি, শরীরী প্রহার ভোলো, এই গান

প্রকৃত অর্পণ

পরান্তক দেবতা কি রুষ্ট হয়ে মুছে ফেলবেন

               আমার সমস্ত পুণ্যার্জন?