চেঞ্জার-১ (পেক্ষা)



শব্দের পাতা থেকে সরে আসা

ফানুসে

আঁচ পোড়া গন্ধ

থেমে উঠে আবার, চলার দায়সারা

অন্ধকারে আলপথের ঘুনসি'তে, মা ফিরিয়ে গেছে বিপদের হত্যা। রক্ত সাদা জ্যোৎস্নায়

ভেসে আসে ফিরতি নিরুদ্দেশ।

কারাগারের চটিতে, আলতো পায়ের ঘুম, ঘুম চায় কিছু কক্ষপথও। স্কিন সেভারে কমতে থাকে ঋণের দাম। দাদন মেটানো চাষীঘামে, মাথায় দুঃখগুলো।

ওদের ঘর আধচালা হয়। তাঁত বোনায় নখ শিরা কেটে একাকী, লাল শোকে। চিলতে পেঁয়াজ, দোচালা মুখ, জিভ চেয়ে রাখে জল। হাতলে থামতে নলটাও জেনে যায় এ শীতে তার কবরের পাশে মাঝি ফেলে আসবে তার আধমরা বাচ্ছাকে।

শিয়াল রাত বুকে ফেরে। গাড়ির শ্বাস কষ্ট থেকে ভেসে আসে আমারও বিরতি।

ঠিকানা শূন্যের খোঁজে। ভি.এল.সি তে এগিয়ে চলে ঢেউ, নৌকা। মুঠোয় খোলামকুচি প্রাপ্ত জন্মে, এখন মুক্তি অপেক্ষায় -





চেঞ্জার-২ (বির্গদ্ধ)



মেঘ শব্দে তুমুল ঝাঁকড়া মাতাল নেড়ে

ওই, ওই

কান শুনছে

চই

হৈইইইই চই

দাঁড় ভাঙ্গলে এমন শব্দ ওঠে জলের

হাপুস ডাঙ্গা ভেঙ্গে সেকি তোলপাড় তখন

চ' র সইরা মাথাভাঙ্গা কলমের দুঃখে সেদিন শ্রাদ্ধ রেখেছে

ভুসসসস

পানকৌড়ির ডিবেই তখন বেণারসী কিমতিম

আহা! এমন সোহাগ

টসটসে স্নান গোলায় বিমূর্ত বির্গদ্ধ

ডুব সাঁতার





চেঞ্জার-৩ (ল-ফলা)



তোমার বিকারে ঘুমিয়ে থাকা বিকেলের মূর্ছনা।

এখন কি খোলা ছাদে, পায়ের আঁকসিতে নোলক আঁকছ?

বড্ড শীত জাড়িয়ে নিচ্ছে ঘাসদুপুর

ঘুঘুর পদযাত্রায়, মাতালদের সহমরণ -

ঘেমে ওঠা নাভির পায়ে, আড়ষ্ট শীত

একফালি তাৎপর্য ধার দেবে

খাতার রুল

ল' না মানা নিষিদ্ধ প্রশাখা

শুনছ?

কষ্টের শ্বাস হিমবায়ু খুঁজছে





চেঞ্জার-৪ (না-হীনা)



সাদার পায়ে নীল অন্ধকার

না!

নীল তো ভাসে সমুদ্রে ডুবে গেলে সূর্যাস্ত।

আমার আঁকার খাতায়ও এখন তার দহরম মহরম।

ঝরে পড়া আঙ্গুল থেকে, থোকায়

লাল, হলদে, আসবাব, আহরণ, আবাদ

জমি জমা বন্ধক রেখেছে ঘর জানলা

শীত আসলে খোলসে মুড়ে বসে বাবু

আর ওই দক্ষিণের দরজায়, আগুন পোড়া গন্ধ

আসে

পাতার শোক, চিলতে আরো চিলেকোঠা তখন

তোর দালানে