দূর্বাদল মজুমদার
লেখক / সংকলক : iPatrika Crawler
ঘোরালো কবিতা ৪
আমি আসলে নিজেকেই দাগাচ্ছি
এক দুই তিন করে
লিখবার আগেই এই কবিতা পড়ছি আর ভাবছি
এটা বোধহয় অমুক কবি আগেই লিখেছেন
ধরনটা তারই মতো।
এই শব্দগুলোয় কার যেন রক্তের দাগ!
তার ফিঙ্গার-প্রিন্টও আছে এতে!
এবার ফেলুদা ও ব্যোমকেশ একসাথে এগুচ্ছে
পালাবার পথ নেই
সামনে গভীর সুড়ঙ্গ
তার লেজ পাকিস্তানে
আর মুড়ো চিবিয়ে খেয়েছে অজিত ডোভাল
থুড়ি
তপেশ ও ডানাকাটা-জটায়ু
এবার রাবন কি করল?
কি করল যেন! ও! হ্যাঁ,
ফেলুদার বৌ ভেবে সত্যবতীকে নিয়ে
এই কবিতার অক্ষর-চিহ্ন ধরে এগুতে লাগল....
ঘোরালো কবিতা ৫
চাঁদের সাথে তিনটে তারা
তারার সাথে দু'খানা স্ট্রিট-ল্যাম্প
দু'খানা তারার সাথে আমি
আমার সাথে দশটাকার তেল-নুন
আর এই অলৌকিক কবিতার খদ্দের!
সবাই জ্বালাচ্ছে!! কী মুশকিল, কিন্তু জ্বালাচ্ছে!
খদ্দেরএর সাথে কবিতা, আর চাঁদের সাথে স্ট্রিট-ল্যাম্প আর তেল-নুন
তোমাকে হায়নাদের মতো ভাবাবেই।
এসবই জানা।
যেটা অজানা, তা হল এই শব্দমালার
অলৌকিকত্ব!
এসব মেনে নেওয়া সত্যিই খুব পুলিশ নাহলে
সবাই পারে না! কী যেন নাম সেই তারাফুলের?
এসব ভাবতে ভাবতে লেখা আরো বিউগল হয়।
অথবা বিরির ডাল-ভাত।
আমরা ভাতে চাঁদ মেখে খাই।
ঘোরালো কবিতা ৬
পিছনে কত যে বোঝা। হাতে আর একটাও খরচ করার মতো মুকুব নেই।
অথচ কত কত ফলন্ত জীবন।
ও তো ওরকমই হয়।
হাঁটতে হাঁটতে
ও তো ওরকমই হয়।
ফেলে দিয়ে কাচের মিনার, তুমি কি তুমুল লিখছ?
বেঁচে আছো,মেপেরাখা বিশুদ্ধতায়
স্বপ্ন-টপ্ন ফলিয়ে অস্বীকার করছো জীবন ও যাপন।
চলো আজ শিরা কেটে দেখি, রক্তটক্ত কতটা লাল।
কতটা বিপ্লব এল চোখে!
কতটা সময় খেল আমাদের নিঝুম
মরমর।
ধরো এসবই কবিতা।
এসবই খুঁড়েতোলা কত কি করেছি।
সে কি আর জানিনা ভাবছ!
লিখে রাখা হচ্ছে লোহায়,লেদে ও রোদে।