দেহলিজ-১




 


 




নীল পুরুষ।
সে দুরন্ত প্রেমিক!



জাল ছড়িয়ে
রাখে অট্টহাসি
 



মেপে দেখো
অন্ধকার
, নিরুত্তর সময়



 



সবুজ সমকোণ।
মুদ্রাদোষে মৃৎশকট



এ দ্বন্দ্ব
নয়
, রোমহর্ষক আঁশবটি 



নিশ্চিন্দিপুর, নিশ্চিন্ত পায়রাজল 



 



দীর্ঘ
বোঝাপড়া। কে কার পাশ ফিরে শোয়



এভাবে
আকাশটা মাটি হয়ে যাবে



যেভাবে উলটে
যায় ঘাতক কলনবিদ্যায়
 



 



 



দেহলিজ-২



 



দেবদারু অনুসরণ। কেঁপে
ওঠে নক্ষত্রযুদ্ধের ভিত।



বয়স বাড়ছে আকাশের, লয় হারিয়েছে মৌন সংগীত



গুস্তাখি মাফ। কিছুটা
বিস্মৃত মৃত হাসি



 



এভাবে বিন্যাস পালটে
যায়। চরিত্র ও চেতনা
 



হাওয়াবালিশ, ছরহীন বেহালায়। ধুলো মুছে দেয় 



সময়ের পাশে সময় বসে
থাকে। অন্ধকার হিতাকাঙ্খী



 



এভাবেই সৃষ্টি লেখা হয়।
শব্দেরা জন্ম-প্রবন।



কারো কি আসার কথা ছিল? দেয়ালে অদৃশ্য অনুবাদ



উপস্থিতির ছিল না
বিশেষণ। থেকে যায় আকাশ-মাটি-জল
 



 



 



দেহলিজ-৩



 



বরং তাকে জানিয়ে দিও।
পাতা খসে পড়া প্রস্তুতিবিহীন।



এ উন্মোচন কামনার হলুদ
আত্মরতি
 



উপমা পালটে যায়। গভীরতা
ক্রমশ গভীর



 



প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
পাহাড় ক্লান্ত হলে নিভে যায় দিন



চোখ ছুঁয়ে দেখো দৃষ্টিরা
প্রতিবিম্ব
, নাজুক 



বাঁধ ভেঙে যায় আঁধারের।
প্রতীক আঙুরবালা
 



 



বিশুদ্ধ বেজে ওঠে।
যৌনতায় সম্ভাবনা তৎপুরুষ
 



দৃশ্য জড়ো করে দৃশ্যের
সঙ্গম
, অসুখ সেরে যায়



ইহকাল পরকাল নেই। যা
কিছু আনন্দময়
, আত্মদর্শন