অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখক / সংকলক : অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়
পলিমাটির দেশ
অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়
পলিমাটির দেশ ১
আবহাওয়া দপ্তর ভাসে শহরতলীতে,
সন্ধ্যের কাক ওড়ে, অগ্নিপ্রশমন যন্ত্রেরা
শ্রান্তি খোঁজে উল্লাস কলোনির কাছে
আরো জমে পায়ের জঞ্জাল
একটি অঞ্চল ডানা ঝাপটায়
ধূসর জ্যাকেট আঁকা লোক হাঁটে
আমিও যুদ্ধের সাধ নিয়ে
আকাশ হাতড়ে কাটা ঘুড়ি, সুতো
ফালাফালা করে সন্ধ্যের মেঘ
দুধ উথলে ওঠার গন্ধে
একটি বেড়াল পোষার কথা ভাবি কিছুক্ষণ
দোকানের গায়ে ঝুলছে আরেকটি দোকান
তাতে মরোক্কান সুন্দরীর হাসি। ব্রাজিলের
কোনো সমুদ্রভর্তি গুদাম ঘরে একটা ছোটগল্পের জন্য
ঘুরি, প্যাঁচ খাই তারপর উড়ে উড়ে একটা চরিত্রের মত
নিজের এসে গল্পেই ঢুকে পড়ি
শহরতলীতে শুরু হয় শীতের ফিসফাস
আঁকা জ্যাকেটের লোকটা হাত নাড়ে
নাইন বি বাসের দীর্ঘ পাদানি থেকে তার ময়লা জুতো
দগদগে থুতু ফেলে যায় রাস্তায়
পলিমাটির দেশ ২
নতুন জামার কাছেই থাকার কথা একটি দাগের
আমি তাকে সকাল সন্ধ্যে খুঁজি মন দিয়ে
আরো অনেক যাদবপুর হলে
ঢাকুরিয়া জ্বলে ওঠে রাতের ভেতর
জ্বর নিয়ে টিভি, টিভি নিয়ে রাতের খাবার খাই
মাস পয়লায়
যৌবনে কিছু তোলা নেই আমাদের
সব গুণ ছেলেমানুষির, সমস্ত ভেতর ঘর
ভাড়া করা বুক সেলফে ভরে গেছে , স্যালারির অর্ধেক যায় তাতে
পাশে এক গলি। সুরেলা বিলাপ করে, কাঁদে
আমার রুটিনে কেন নেই মদের দোকানের শর্টকাট?
শুধু কিছু বাড়ি অন্ধকার জমিয়ে হাটু অব্দি সায়া তোলা পায়ের মত,
গোছা রজনীগন্ধার মতো হাসে ছেলেমানুষের কাছে
ঘুম নড়ে। চড়ুইভাতির দিনে আগুনের অপ্রসন্ন কান্নার ডাক
বাড়িঘরে ঢেলে দেয় নিশুতি-বন্দিশ। গল গল ধোঁয়ায় পাখির শব্দ
ভেসে যায় দিগন্তের কাছে। ঘোষণা হয় ক্যাম্পের দিন
আলিবাগ থেকে বলছি, আম দরবার থেকে বলছি, এভাবে বারবার
এইভাবে সরোদের দেশে সব গুণ হেটে যায় একা পালকের দিকে