বলো না কাতর স্বরে,                বৃথা জন্ম এ সংসারে


এ জীবন নিশার স্বপন,


দারা পুত্র পরিবার,                     তুমি কার কে তোমার


বলে জীব করো না ক্রন্দন;


মানব-জনম সার,                      এমন পাবে না আর


বাহ্যদৃশ্যে ভুলো না রে মন;


কর যত্ন হবে জয়,          জীবাত্মা অনিত্য নয়


ওহে জীব কর আকিঞ্চন ।


করো না সুখের আশ,                পরো না দুখের ফাঁস,


জীবনের উদ্দেশ্য তা নয়,


সংসারে সংসারী সাজ,              করো নিত্য নিজ কাজ,


ভবের উন্নতি যাতে হয় ।


দিন যায় ক্ষণ যায়,             সময় কাহারো নয়,


বেগে ধায় নাহি রহে স্থির,


সহায় সম্পদ বল,              সকলি ঘুচায় কাল


আয়ু যেন শৈবালের নীর ।


সংসার-সমরাঙ্গনে                    যুদ্ধ কর দৃঢ় পণে,


ভয়ে ভীত হইও মানব;


কর যুদ্ধ বীর্যবান,                      যায় যাবে যাক প্রাণ


মহিমাই জগতে দূর্লভ ।


মনোহর মূর্তি হেরে,                 ওহে জীব অন্ধকারে,


ভবিষ্যতে করো না নির্ভর;


অতীত সুখের দিন,                   পুনঃ আর ডেকে এনে,


চিন্তা করে হইও না কাতর ।


মহাজ্ঞানী মহাজন,                    যে পথে করে গমন,


হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয়,


সেই পথ লক্ষ্য করে                  স্বীয় কীর্তি ধ্ব্জা ধরে


আমরাও হব বরণীয় ।


সমর-সাগর-তীরে,                   পদাঙ্ক অঙ্কিত করে


আমরাও হব হে অমর;


সেই চিহ্ন লক্ষ করে,                 অন্য কোনো জন পরে,


যশোদ্বারে আসিবে সত্বর ।


করো না মানবগণ,                    বৃথা ক্ষয় এ জীবন


সংসার সমরাঙ্গন মাঝে;


সঙ্কল্প করেছ যাহা,                    সাধন করহ তাহা,


রত হয়ে নিজ নিজ কাজে ।


দিন যায়, ক্ষণ যায়,                   সময় কাহারো নয়,


বেগে ধায়, নাহি রহে স্থির,


সহায় সম্পদ বল,                     সকলি ঘুচায় কাল,


আয়ু যেন শৈবালের নীর ।


জাতি-দেশ-বর্ণ ভেদ ধর্ম ভেদ নাই ।


শিশুর হাসির কাছে,                  সবি প’ড়ে থাকে পাছে,


যেখানে যখন দেখি তখনি জুড়াই।