ব্রেক টু গেইন অ্যাকসেস

 ভাস্বতী গোস্বামী




ঘটনাটা এই যে, আমি যতোবার ফ্লো-তে চেয়েছি ঐ মায়া-ফায়ার হায়াৎ-হ্যাঙওভার  ছুঁড়ে, ততোবার পড়োশি বুকের শীতঘুমটুম দেদার গিলে সে এক বিন্দাস ঢ্যামনামো। নাগিনার ফিস্‌ফিস্‌ আর পায়রার আলিশান কলজেটা চুবিয়ে লাল ভদকা। ও রসিলি নীলমওয়ালী… আমার রাত কী খ্যায়রি। কবিতা ভিজিয়ে চুষবো। তারিয়ে তারিয়ে মদ আর লাল কবুতরের… নাহ্‌ লাল আলিশাঁর… নাহ্‌ লাল খোয়াবের হাশিশ, হাইমেন,নিঘ্‌ঘুম… 


--- নীল সবুজ পাথরে স্বপ্ন দেখতে পাও তুমি?

--- স্বপ্ন নয় ,বদলে দিই কিছু জীবন

--- জীবন? যে জীবন বসে থাকে পথের হাতায়, রক্তফুলচুড়াশেষে?

--- আবার ঠাকুর্দা!! পোস্ট-মডার্নিজম, ডি-কনস্ট্রাকশন, কেওস কবে আর  শিখবি বল্‌ তো ?

--- কিইইইই!! ক-বি-তা-র রান্নাঘর?

--- হয়েছে… হয়েছে। মাছের ডিমের বড়াগুলো নুনে পোড়ালি--- ঘুগনিটা গলিয়ে ফ্যান

--- এটা চিটিং--- এমন মা-আ-আ-আ-র-বো না!!

--- মা?--- যা ঘুগনি বানাতো না আমার বুড়িটা…


অরে অ ড্যাকরাপুলা--- মাথায় জল দেওনের লাগে… কী বিড়বিড়ায়…


ওহ্‌ মাদার---

মাদার, শবনম তোমার নেলপালিশ ছিটে, মদের চুরমার আগুন, ভুসভাসের কয়লাখনি। তোমার দুয়ারখোলা আঁখে

সালে মজাকি--- গন্না গণিজা---

--- ডায়াস্পোরা বুঝিস? ধর একটা স্পিৎজ্‌ আর ল্যাবের একটা ইয়ের ব্যাপার হলো--- সেরকমই একটা ভাষাতেও সংকর …

--- চোওওওপ্‌। এই তোমার কবিতা পাঠশালা?

--- কি বললি… শালা?  গুড এই তো দিব্যি গালি দিলি! তো এভাবেই ব্যবহার হবে কবিতায়। অর্থাৎ ন্যাকাচাঁদকে এবার একটু প্থ দ্যাখা। খিল্লি ধরে গ্যালো 

সালার---

--- যত্তো বাজে কথা

--- না এভাবেই শুরুটা হয়েছিল। দিল্লি-ইউ পি-হরিয়াণা ফ্রিঞ্জের প্রান্তিক জনজাতির মুখের ভাষায় ব্যবহার করা শব্দ/ উচ্চারণ নিয়ে শুরু হলো আমাদের ডায়াস্পোরার সাহিত্য পত্রিকা ‘জিরো আওয়ার’। মূল ভাষার পরিচিত ফ্রেমের মধ্যেই নতুন ‘চিহ্ন দখলের লড়াই’। ভাষাতাত্ত্বিক ভি ভেলেনশিনভ তাঁর ‘Marxism and Philosophy of Language’ বইতে বলেছেন এই লড়াইয়ের কথা। হরিয়ানভি, উর্দু,বাংলা,হিন্দি এবং মুখচলতি ইংরেজির মিশেলে তৈরি হলো এক সংকর ভাষা, যার প্রকৃতি, বাংলাভূখণ্ডের প্রচলিত মৌখিক বা কেতাবি বাংলা থেকে ভিন্ন।

--- বাহ্‌ চমৎকার। আর এভাবেই বন্যার ঢলের মতো ভিনশব্দরা শেষে ‘আ মরি বাংলাভাষা’কেই না কোমায় পাঠিয়ে দেয়!

--- তোর মুণ্ডু। ভাষা, মানুষের মুখেই বাঁচে। তার নানান্‌ প্রবাহ থাকে। এসবই সজীবতা। জব্বর শীতে যেমন মুড়ি-মটরশুঁটি চিবো্‌ তেমনি মুড়ি-পেঁয়াজ-ঝালঝাল ডালের বড়া, ধনেপাতা-রসুন-আদার চাটনি দিয়ে চেটে চেটে খাও না তুমি? তাতে কি মুড়ি দেশ থেকে উঠে গ্যালো? তো এভাবেই বাংলা কবিতা ডায়াস্পোরিক হয়েও বাংলা কবিতাই থেকে যায়


ও তমন্না মেরি সুইটহার্ট হাশিশ হম্‌দম্‌

পুশ ব্রেক অ্যাণ্ড গেইন অ্যাকসেস


পারতেই হবে প্রতিটা রাত, প্রতিটা আমাকে। এবার, অ্যালার্ম শাবল 

ভাঙো। সমুদ্রহাওয়ায় ঘাসেদের ঢলানি টাচ্‌ আর হাশিশ চুদুরবুদুর।


--- পুরোনো ক্ষুধাও ফিরে এল কবিতায়, সম্পূর্ণ নতুন ভাষার পোশাকে। এই যে তুই হঠাৎ নড়েচড়ে বসলি স্কার্টটা টেনেটুনে, চুল প্যাঁচাছিস… তো পুরো ফ্রেমটাই বদলে গ্যালো না?

--- তুমি কি বলত চাইছো দীপুদা?

--- এভাবেই নিবিড় হবি কবিতায়। দেখবি। দেখবি আর জানবি, কখন ঘুমের মধ্যে শ্বাস গাঢ় হয় কবিতার। বালিশে লালা ঝরে। মেঘ ডাকলে কখন কোমর নাচিয়ে,

‘আপ য্যায়সা কোই মেরে…’ কবিতা হয়।


মাথাটা পালক। ঝুনঝুনি ভাঙো নগ্নতার। আদর হচ্ছে। শরীরটা ভাঙো আব্‌জানো দরজা। ছাতার তলায় যে বালিশ, তার কোল ভাঙো। ভিজছে ফোটোশপ, ফণ্ট অ্যাণ্ড  স্ক্রিপ্ট। ক্যালানে ক্যামেরা।


--- হেসে ওঠ্‌ একবার। কী লাভলী স্মাইল তোর। 


ভিগি ভিগি আগ ইয়ে বরসাত কিঁউ? গাছ থেকে গাছ জলের লাম্পট্য ও আফাটা ভার্জিন। জিভের লোনাজল ডিজাইন। জঙ্ঘায়… শ্বাসনালীতে… প্রহরে---


‘কোহরা ও পিঠে তারার ঘুণাক্ষর আলোর চলাচল

এ ঘরমুখো পাইন ফার শালের আনাচকানাচ

নেমে আসে শুশ্রূষায়’

(দীপঙ্কর দত্ত)


রোলিং,প্যানিং ফেল করায় ক্যামেরা ভেব্‌লে আছে। স্ক্রিপ্ট অসমাপ্ত রইলো।