সার্থকতা



অমিত গোস্বামী




রোদছায়া দ্বীপ থেকে এনেছি পানীয়,

স্ফুরিত বর্ণালী ধৃত স্ফটিক পাত্রে,

কী জানি কী স্বপ্ন নিয়ে কঠিন পাথরে,

আকূল চাতক ডাকে তপ্ত বৈশাখে।



আকাশ তুলেছে মাথা গেঁথে নিয়ে চাঁদ,

ঝরেছে আলোর থেকে ফোঁটাফোঁটা মোম,

আমারও শরীর ছিল? কখনো ভাবি নি,

চিতাকাঠ পুড়ে ভাসে পিতার আসন।



রোদের নরম আমি ভাসিয়ে রেখেছি,

কে সেই ব্রতের হোমে ঢেলেছে জহর!

যে পাত্রে রয়েছে মদ, বাস্প, আরক,

আগুন...আগুন জ্বালো প্রথম অক্ষর।



কারো মুখ স্মৃতি ঠেলে ওঠে নি প্রদীপে!

দেহের ভিতরে রাখা আঁকাবাঁকা গলি,

কার কাছে যাই বলো? আলোর গোলকে,

'ভালবাসি' আমি আর কার কাছে বলি!



শরীর প্রান্তে নামে অযাচিত ভোর,

স্নেহদাগ সার্থক ভরা বুক শুষে,

পান নয়, স্নান করি বৃন্তের টানে,

ছাপিয়ে জীবন মেশে গরম পীযুষে।










ভয় কেন?






ভয় কেন,চোখে চোখ রাখো হে ঈশ্বর, সকলকে ডাকো,

বালির বিবর খুঁজে আটকেছো জল

এখন কি চাই? পেরোবার সাঁকো?



ক্ষমতার দ্বন্দ্বে আমাকে রক্ত দিতে হবে আগে? কেন?

সত্যের ঘোড়াকে তুমি দেখেছ বেড়াতে?

মৃত্যু কি আয়ত্তে আসে নি এখনো?



কিছু প্রেম হারানো, ছড়ানো, কিছু প্রেম তামাদি হয়েছে,

ব্যাকুল উন্মাদ রক্ত কাকে দিয়ে যাব?

মেঘে মেঘে আজ বেলা বয়ে গেছে।



কে তাকে জড়িয়ে রেখেছে? এখন বলি না আমি পারি,

ডুবে যেতে যেতে হে ঈশ্বর আমি যদি

তোমার পিছনে কষে লাথি মারি!