নগরের পথে পথে দেখেছ অদ্ভুত এক জীব

ঠিক মানুষের মতো

কিংবা ঠিক নয়,

যেন তার ব্যঙ্গ-চিত্র বিদ্রূপ-বিকৃত !

তবু তারা নড়ে চড়ে কথা বলে, আর

জঞ্জালের মত জমে রাস্তায়-রাস্তায়।

উচ্ছিষ্টের আস্তাকূড়ে ব’সে ব’সে ধোঁকে

আর ফ্যান চায়।


রক্ত নয়, মাংস নয়,

নয় কোন পাথরের মতো ঠান্ডা সবুজ কলিজা।

মানুষের সত্ ভাই চায় সুধু ফ্যান;

তবু যেন সভ্যতার ভাঙেনাকো ধ্যান !

একদিন এরা বুঝি চষেছিল মাটি

তারপর ভুলে গেছে পরিপাটি

কত-ধানে হয় কত চাল;

ভুলে গেছে লাঙলের হাল

কাঁধে তুলে নেওয়া যায়।

কোনোদিন নিয়েছিল কেউ,

জানেনাকো আছে এক সমুদ্রের ঢেউ

পাহাড়-টলানো।


অন্ন ছেঁকে তুলে নিয়ে,

ক্ষুধাশীর্ণ মুখে যেই ঢেলে দিই ফ্যান

মনে হয় সাধি এক পৈশাচিক নিষ্ঠুর কল্যাণ ;

তার চেয়ে রাখি যদি ফেলে,

পচে পচে আপন বিকারে

এই অন্ন হবে না কি মৃত্যুলোভাতুরা

অগ্নি-জ্বালাময় তীব্র সুরা !

রাজপথে এই সব কচি কচি শিশুর কঙ্কাল–মাতৃস্তন্যহীন,

দধীচির হাড় ছিলো এর চেয়ে আরো কি কঠিন ?