সুমন মান্না





শিউলি




অজস্র শিউলি ঝরে ঘুমের ভিতরে আজকাল

রাতের অন্ধকারে বারান্দার গ্রীলের আড়ালে

সে সুগন্ধি হাতচিঠি ছুড়ে দেয় ঘাসে প্রত্যাশার।

অক্ষরের ছাঁদ, সংকেত শব্দগুলির মর্মোদ্ধার

ভাষা বোঝা নেই বলে ঠাহর হয় না আমার

হয়ত ফারাক আছে। জানা নেই। কার জন্য

এত রাশি রাশি চিঠি প্রতিদিন পাঠিয়েছে সে

সে কি ফিরবে কখনো, হারিয়েছে ভালোবেসে?



সুগন্ধি শিউলি গুলি তুলে আনি, ভাষাটি অজানা

তাই পরের চিঠি পড়ার পাপ লাগা নেই। শিউলিও

ঘরের চারপাশ দেখে টেখে ঘুমিয়ে বাদামী হয়

ভাষা উদ্ধার করতে গাছটির কাছে আসি দিনে

সাধারণ গৃহস্থ বাড়ির মতো রান্নার গন্ধ, টিভি…

শুধু জানি ঘুমোলেই তুই বুকে শিউলি ছড়াবি।










 যত ধুলো বাইরে জমেছে






যত ধুলো জমেছে বাইরে, ততটা কি ভিতরেও

বয়সের ভারে এখন অচিন সবই ক্ষয়ীভূত অঙ্গ মৃদঙ্গ

চোখের দৃষ্টি জানি ক্ষীণতর হয় প্রতিদিন।



যত লজ্জা, যত অপমান কাদা বাইরে লেগেছে

পৌঁছল তার কতটা গভীর,  চামড়া ভেদ করে

কতটা রক্তাক্ত হল অভ্যন্তরীণ শরীর?



যত কথা শুনেছি এযাবৎ, যত কথা বলেছি কাউকে

লিখেছিও কিছু কিছু তার? কতটা পৌঁছতে পেরেছে

এতদিন পরে, কতটা রয়েছে মনে তার?



কতদিন কাছে পৌছতে গিয়েছি, কতটা পেরেছি ছুঁতে

কতটা সে ভালোবেসেছিল, ঢেউ খেলা উঁচুতে নিচুতে

কত মিল খুঁজে পেয়েছিল, পেয়েছিল গরমিলও?



এক হয়ত মনে করি এখনও কিছুই বলি নি

অথবা হতে পারে, আমি কখনও সেই নদীতে নামিনি।