অদৃশ্য ফিতে থেকে ঝুলছে রঙিন বেলুন

রাত্রির নীলাভ আসঙ্গে আর স্বপ্নের ওপর

যেন তার নৌকা- দোলা; সোনার ঘণ্টার ধ্বনি

ছড়িয়ে পড়ছে সমস্ত শহরের! আমি ফিরলাম

ঝর্ণার মতো সেই গ্রীষ্ম দিনগুলোর ভেতর

যেখানে শীৎকার, মত্ততা আর বেলফুলে গাঁথা

জন্মরাত্রির উৎসবের আলো; দীর্ঘ দুপুর ভরে

অপেমান ঘোড়ার ভৌতিক পিঠের মতো রাস্তাগুলো,

গলা পিচে তরল বুদ্বুদে ছলছল নত্ররাজি,

তার ওপর কোমল পায়ের ছাপ, -চলে গেছি

শব্দহীন ঠাকুর মার ঝুলির ভেতর।

দেয়ালে ছায়ার নাচ

সোনালি মাছের। ফিরে দাঁড়ালাম সেই

গাঢ়, লাল মেঝেয়, ভয়-পাওয়া রাত্রিগুলোয়

যেখানে অসতর্ক স্পর্শে গড়িয়ে পড়লো কাঁচের

সচ্ছল আধার, আর সহোদরার কান্নাকে চিরে

শূন্যে, কয়েকটা বর্ণের ঝলক

নিঃশব্দে ফিকে হল; আমি ফিরে দাঁড়ালাম সেই

মুহূর্তটির ওপর, সেই ঠাণ্ডা করুণ মরা মেঝেয়