দ্বিতীয় সংখ্যা
দ্বিতীয় সংখ্যা
লেখক / সংকলক : to.dehlij@gmail.com
দেহ্লিজের দ্বিতীয় সংখ্যা
দিল্লির পক্ষে দেহ্লিজ একটি স্ট্রং পদক্ষেপ । দিল্লির হাতে গোনা লিটল ম্যাগাজিন, ওয়েবজিন, তাদের দুএকটি ম্যাগাজিন ছাড়া প্রায় পত্রিকাগুলি অনিয়মিত, এবং তা চরম ভাবেই স্বাভাবিক । এটাই দিল্লির বাংলা সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য । দিল্লির কি নিজস্ব সাহিত্য চরিত্র থাকতে পারে ? সাহিত্যে কি ভৌগলিক বলে কিছু হয় ? যেখানে ভাষাটা এক ।
এ এমন একটা জরুরী বিষয়, যেখানে কোন স্ট্যাম্প মারা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না দিল্লি বাংলা সাহিত্যের কাছে বিরাট কিছু দৃষ্টান্ত, কিন্তু একটা বিশ্বাস তো করাই যায় যে দিল্লির নিজস্ব একটা বিষয় আছে ? বৃহত্তর বৃত্ত থেকে আলাদা করে ক্ষুদ্রতর গণ্ডির ভিতর কিছু কি সৃষ্টিশীল থাকতে পারে ?
ডায়াস্পোরা নিয়ে কথা হয়, দিল্লির বাংলা শব্দে হরিয়ানভি ঠাট্ , বরিশালের গাংচিল আর রংপুরের লালমাটির মত স্পষ্ট । তো জাহির হে, বাংলাকে শুদ্ধ বাংলা বলতে যত প্রয়াসই হোক, আমরা আরাবল্লির মাটির গন্ধকে কি করে ভুলে যাই ?
তাহলে দিল্লি থেকে এতদিন ধরে আর কি লিখছি আমরা ?
কিছুটা ক্লোন, কিছুটা স্মৃতি, নাকি ঢাকা কলকাতা থেকে আগত সাংস্কৃতিক চর্চা । এটা দিয়েই শুরু, কিন্তু এইভাবে রিং রোড বরাবর হাঁটতে থাকলে আপনি একটা ডেভিয়েশন দেখতে পাবেন, জলবায়ু থেকে কিভাবে জলীয়বাষ্প উধাও । এই শহরে এসে ঘিরে বসেছে রাজধানী , সি আর পার্ক, কালকাজী , গোল মার্কেট, কারোল বাগ, দ্বারকা, মহাবীর এনক্লেভ, নয়ডার বিভিন্ন সেক্টরে বাঙালি কলোনী । ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাংলা বসতি । লোক মুখে শোনা বাইশ লক্ষ বাঙ্গালির বাস । তো এতো বাঙ্গালী দুই দুটো বাংলা(প্র)দেশ থাকা স্বত্বেও এখানে কি করছে ?
যেটা করছে, সেটা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, বিহারেও করছে । যেটা নিয়ে তর্ক সেটা রাজনৈতিক, যেটা নিয়ে সমস্যা সেটা জনসংখ্যা, যেটা নিয়ে প্রশ্ন সেটা খাদ্য আর যেটা নিয়ে যাপন তা হল বাংলা । সুতরাং যেটা হারালো , সেটা দেশ, যেটা আক্রান্ত সেটা ভাষা, আর যেটা নিয়ে বাঁচা তা হল বিশ্বাস , তা হল নিজস্বতা । আমাদের নিজের কি কোন চরিত্র আছে ?
আছে । বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর । একবার কুতুব মিনারের গায়ে হাত দিয়ে দেখুন, একবার যমুনায় পা ডুবিয়ে দেখুন, এক মধ্য রাতে ইন্ডিয়া গেট, এক দুপুরে খুনি দরবাজা , এক জানুয়ারিতে লোধী গার্ডেন, এক ফেব্রুয়ারিতে হুমায়ুন টমে বোঝা যায় ভারতবর্ষের কৈশোর, ইতিহাসের যৌবন, আর পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের অবয়ব রাইসিনা হিলস । এই হল দিল্লি ।
আর যারা আরাবল্লির মাটির গন্ধ পাননি, যমুনার জলে স্রোতের আওয়াজ শোনেননি, লাল কিলার পাথর ছুঁয়ে ইতিহাস অনুভব করেন নি , তিনি এতো বছর রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই জলবায়ুর নমক খেয়েও এখনো দিল্লিকে গ্রহণ করে উঠতে পারেন নাই । না ঘরকা , না ঘাট কা ।
দেহ্লিজের জন্ম নিয়ে অনেক উন্মাদনা । দিল্লির পাথরবুকের সজীবতার ছোঁয়া । সুদূর ওমানীয় ধূলিঝড় উড়িয়ে নিয়ে গেলো পল্যুশন, রাজধানী একরকম আর দিলবাজী অন্যরকম, দিল্লির শাহী জলবায়ুতে কলার পুন প্রবেশের মাঝদিয়ে এই ডিজিটাল দৌড়ের সূচনা । তো জাহির, হে এখানে পলিটিক্সের পাশ ঠেলে দাঁড়িয়ে উঠেছে কবিয়ালের দেওয়াল ।
দেহ্লিজ, ডোমেনের আশেপাশে গড়ে উঠেছে, প্রথম সংখ্যায় পদার্পণ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার । লেখক ছিল, ৩৭ জন । সমস্তই দিল্লির আয়োজন বললে তেমন ভুল বলা হয় না । দিল্লির লেখকদের বেশীর ভাগ মাইগ্রেটেড , কিছু দ্বিতীয় প্রজন্মের, কিছু তৃতীয় প্রজন্মের । আর কিছু পরিযায়ী । দিল্লির লেখক কমিউনিটি ডেভেলপ হচ্ছে দ্রুত । এর মাঝেই জন্ম নিলো দেহ্লিজ, তার ওয়েব এড্রেসের জন্য ডোমেন নেওয়া হল ।
আপনিও বুকমার্ক করে নিন - http://www.dehlij.com
Review Comments
সোসাল মিডিয়া কামেন্টস