আত্মঘাতী





সুতপা ঘোষ দস্তিদার




একটু একটু করে প্রায়

পুরো আকাশ দখল করেছে

মেঘ          সেই সকাল থেকে

গুড়ি মেরে আসা প্রেমপ্রত্যাশি কালো পুরুষের বলিষ্ঠ বুকের

তলায় এখন নীলাম্বরী



রসসিক্ত হব বলে

আঁচল পেতে শুয়ে আছি

শুকনো নাবালে

একটুও সবুজ নেই তাই

টিয়ারা আর আসে না কাছে

সেই কবে এক সবুজ টিয়ার

পিছু নিয়ে অচিন কোন

মানবজমিনে পৌঁছে দেখি

সবুজে সবুজ     সে আমার

আঁচলে বুনে দিয়েছিল

সবুজের বীজ      তারপর

আশিরনখর সবুজ হয়ে

নিজেকে হারিয়েছি বহুবার

টের পাইনি জল শুকিয়েছে

কবে ধীরে ধীরে একেবারে।








যা হারিয়ে যায়




ঝিঞে ফুলের হলুদ ঘ্রাণ

মেখে বহুদূরে চলে গেছে

আলো      রেখে গেছে কথা

যেতে যেতে হাওয়ার কানে কানে       তাই কি এত চঞ্চলতা     পাতায় পাতায়

এত কাঁপন?

হা পিত্যেশ বসে আছি

সে কথা শুনব বলে

ঝিঞে ফুলের ঘ্রাণ মেখে

বহুদূরে চলে গেছে আলো

মেপে দেখিনি সে আলোয়

কত ব্যাথা ছিল ।








ভেঙে পড়ার আগে




কত কত ভালোর আশা চেয়ে

এত এত কালো মেখেছি হাতে

কালো হাতে যখন প্রায়

গুছিয়ে এনেছি সংসার

হঠাৎ একদিন  আঁতকে ওঠে সে          আমায় ছুঁয়ো না

তোমার কালো হাতে ।



পা জড়িয়ে ধরি জীবনের

যা কিছু সব তোমার জন্যে

হাতে কালি মেখে আমি

তোমায় রঙিন করেছি

ছেড়ে যেয়ো না আমায়।






কাকস্য পরিবেদনা




স্বজন পরিত্যক্ত ভগ্নপ্রায়

আমাকে জড়িয়ে ধরে শিশুহাত         এখানেই

শেষ নয় সবকিছু

আজের শেষ তো আগামীর

শুরু                ঝাপসা দৃষ্টি

উপরে তুলি          অনাবিল

সাদা হাসি ছড়িয়ে

দাঁড়িয়ে আছে আপাপবিদ্ধ

কালো শিশু

আমি দুই হাত বাড়িয়ে দিই।