সৌমনা দাশগুপ্ত
লেখক / সংকলক : সৌমনা দাশগুপ্ত
সাপের খোলস
সৌমনা দাশগুপ্ত
যেমন সড়ঙ্গা চলে পাহাড়ি নদীতে
তেমনই ঠোক্কর খেয়ে বাঁক নিচ্ছে পথ
মেঘেদের রেতঃপাত
ও গহিন, ওগো কুয়াশার দেশ
কমলালেবুর সঙ্গে গল্প করতে করতে হাই তোলে রোদ
টুপিয়ে টুপিয়ে ঝরে গান, বৃষ্টিও দু-এক পশলা
‘আমি’ সেলাই করতে বসে কাবার হচ্ছে রাত
ঝলসে উঠছে ফুল কবরের অন্ধকারে
মাটি ও পানির দিব্যি, এই আগুনের দিব্যি
জলের বর্শা এসে ফুঁড়ে দেবে দিন-প্রতিদিন
নেভানো আখার থেকে হইহই হাসবে পাবক
আকাশে লটকে যাবে ধোঁয়াদের স্থিরছবি
পাকানো ধোঁয়ার সিঁড়ি— নামবে উল্কার দল
পাতালের যোনি ফেটে উঠে আসে ধূমকেতু
তুবড়ি বেঁধানো ল্যাজ, ছুটে যায় শিকারি কুকুর
এমন ফান্দির জীবন লইয়্যা কী করি, কী যে করি
উড়ে আসে ভাটিয়ালি-- পুরোনো চিঠিরা সব
মাখামাখি ভাসাভাসি, বামনপোখরির জলে
হস্তিনী রমণির জল, নিদারুণ ওয়াশের কাজ
এত বড়ো ক্যানভাস, কোন পথে রং হাঁটে
গ্রাফিত্তির খাঁজে খাঁজে লেগে আছে নুন
ইটের পাঁজার থেকে উঁকি দ্যায় সাপের খোলস
ধোঁয়ার কর্পূর
ঝলসানো অন্ধকারে ঝিকিয়ে উঠবে পারদ
মুখ দেখে নিতে গিয়ে খুঁজে পাবে
রংহীন নিরাকার এক অবয়ব
আর কেঁপে উঠতে উঠতে টের পাবে
একটি সাপ এইমাত্র কুণ্ডলী পাকিয়ে
শুয়ে পড়ল সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ারে
তখন চাঁদমারি ঢুকে যায় কিস্সার ভেতরে
আর
শিকারি বেড়াল ছোটে, ছোটে ধেড়ে ইঁদুরেরা
বরফের থেকে খুলে আসছে আলট্রামেরিন নীল
ধোঁয়া… ধোঁয়া… ধোঁয়ার কর্পূরে ডোবে ঘর
বাতিল এ-রানওয়ে
কাঁকড়ার আঁচড়ের দাগ
মেঘফণা জ্বলে-নেভে
চিৎকার করে ওঠে বিদ্যুৎ