শীতকালীন 

রত্নদীপা দে ঘোষ 



কমলারং 

আগুনের কুয়াশায় মেতেছে লেবুমেয়ে

পৌষ ডাকতে ডাকতে বাঁধনের ফুসফুস 

আলগা! উড়ছে মোমবাতির আঁচদানি 

থোকা থোকা সুরা-পান পেরিয়ে

একটি বোঁটাসুদ্ধ গিঁট গভীর হচ্ছে 

সোয়েটাররং অন্দরে!

২ 

বাড়ন্ত সূর্যরশ্মি 

হিমদুপুরে জাগছে চাঁদহত্যার সাধ

সাদা পাথরের আস্তরণে বরফের ভোর 

আকাশের সুড়ঙ্গ 

বছরশেষের আড়মোড়া

কোথাকার এক শীতশিশু পৃথিবীকে 

গরমজামা ভেবে! আলোয়ানের রেণু! 

পাহাড়ি পশম! উপহার পরাচ্ছে! 



আমিকালীন 

১ 

আকুলতা এমন 

যেন কারো সঙ্গে নয় 

নিজের সঙ্গে একা ! 

যেন ঠোঁটের কোহল মুছে  নিজেকেই নেমন্তন্ন! 

একদিন আসবো তোমার বাড়ি । ভাত খাবো এক গরাসে 

শুশ্রূষা হবে লেখা আমোদে, অন্তরে! যারপনাইয়ের তীরে  

মুঠো মুঠো চিয়ার্সের বয়াম! আকুলতা এমন যেন 

উল্লাসগাউনের টিউনকণা!ঝিকমিক মুখের ব্যালকনি! 


২ 


তারপর না হয় আবার জনহীন। লুডোহীন ছক্কাহীন সিঁড়ি। 

এক টুকরো রেলপাতালের শিশিরভূমিকা ! জোনাকির প্রাসাদে

গরীব গুরবো অ্যালবাম!  সচরাচরের মায়া মাখামাখি এই  

সব থাকা-না-থাকা দৃশ্য! দু’ঘর দূরবীনে মুখরাখা। বাকি 

একভাগ হিমযুগের পদক্ষেপে গুটিশুটি শুয়েথাকা!