একটি কাল্পনিক কথোপকথন



চঞ্চল ভট্টাচার্য




আচ্ছা, হঠাৎ এমন করে চলে গেলে যে,

চা জুড়িয়ে জল হয়ে গেল।

হুম্ম, একটা ফোন এসেছিল, দরকারি।

উফফ, কিসের যে এত দরকার মানুষের?

বুঝিনা বাপু।

তোমায় একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

শ্যামনগরের ছেলেটি কেন অমন করে চাইল?

মনে হচ্ছিল, মাথা ভেঙে ফেলি।

আচ্ছা,  তাই নাকি?

তবে তো আমিও বলতে পারি

পাটুলির মহিলার কথা, উফফ, কি ন্যাকা!

কেমন ঢলে ঢলে পড়ছিল তোমার গায়ে?

যা বাব্বা, সে আবার কে?

জানা আছে, সব পুরুষ ই সমান।






অদর্শন






ঠিক তিনদিন তোমার জন্য

কিচ্ছু লিখিনি।

জানো, লেখা আসছে না,

আচ্ছা, কেন বলো তো?

এটা কি এই জন্য

কতদিন তোমার কপালের

মস্ত টিপ দেখিনি?

আলতো হাতে সরাইনি

তোমার এলে পড়া চুল?

তুমি স্নান সারার পর

তোমার মাথা থেকে

একটা অদ্ভুত গন্ধ বের হয়,

কি যে মাদকতা তাতে

উফফ, সত্যি,

বলে বোঝাতে পারব না।

এই শোনো, তুমি কি গতকাল

সেই নীল শাড়িটি পরেছিলে?

অদ্ভুত সুগন্ধী মেখে

গালে হাত দিয়ে

তাকিয়েছিলে ওই দুরের আকাশে?

তোমায় কতদিন দেখিনি,

খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।




কবিতার জন্য




শুধু কবিতার জন্য

অনায়াসে প্রত্যাখ্যান করতে পারি অমরত্ব,

কবিতাকে ভালোবেসেই

হাতে তুলে নিতে পারি গান্ডীব,

কবিতাকে ভেবেই,

পেরিয়ে যেতে পারি

গোবি মরুভুমি বা কারাকোরাম পর্বত।

শুধু কবিতার কথা বলেই

তোমার জন্য লিখে ফেলতে পারি

সুবিশাল মহাকাব্য।

একলব্য ও হতে পারি একদিন

কবিতা, তোমার জন্য ই

আমার স্বাধীনতা,

বিদ্রোহ, প্রেম, আনন্দ।

আমার এই শেষ হতে থাকা সময়ে

শুধু কবিতার জন্য ই

পান করি হলাহল অমৃত।