নাইটমেয়ার 

মোনালি রায়




এক থেকে অন্য ঘটনায় যাবার সুড়ঙ্গ দুলে দুলে উঠেছিল


অ >  অপঃ। তপঃ।  সুবর্ণ গোলক! চিটপিট ফোম  কালো সাদা নিখুঁত বিভাজন  বেশ মিলমিশ     

হতে না হতে লোলুপ আংসাশী শৃগাল


গন্ধে ছন্দে গোলক না লাল না নীল    

সেই সাদা সেই কালো 

একঘেয়ে শৃগাল পালালো


আ  >  আঙা রাঙা বিচূর্ন আলো। দিব্য দিবা। নিশি কালো। মোড় পাহাড় গায়ে গায়ে 

লস্ট কনভেন্ট

ভেঙে গুঙিয়ে তারস্বর!  

গং গং গং  ঘন্টাঘর। 

আহা! সাধু! 


জোব্বা পকেটে হাতে নখে ঝনঝন রনরন লক্ষ অলক্ষ ড্রয়ার মুখবন্ধ নিঝুম চাবি।


ই > ইহ লক উহ লক। লক স্বর্গ লক লক নরক!


 অতিসতী তারা অতি রম  প্রেম। অতি যতি ইনারশিয়া জানালার কাচ ঘেরা তবু অধিকৃত নয় হে হেম!


শুধু লোভ তবু লোভ আরো লোভ


ঈ > ঈশ্বর! উদ্ভিন্ন শৈশব গাথা অথ নকশি কাঁথা 

যা যা পুরাতন স্ট্রোকস এক জগ ভ্যান গগ-- রক্তে রিক্তে ঝেঁপে...  তেমন লাল নয় 

সাদা পতঙ্গ যেমন গুনগুন


গুন গুন  আগমার্কা ভবঘুরে 

আস্ত সংসার পকেট ভরে

আঁশবঁটি  

সুজনি, কলমিলতায় ঢাকা - ওহো! 

পুনরাবৃত্তি! 

......


রত বর্ণমালা 


এক সময় অন্য ও অন্য সময়ে   ফেরা গর্তেরা কেঁপে কেঁপে ওঠে

রাতভোর





অ্যাপার্টমেন্ট


টপফ্লোর


বহুদিন পর চেনা ঘরে ফিরে সবকিছু অলীক মনে হয়। মনে পড়ে যায়, এখানেই তেষ্টায় ছাতি ফেটে মরতে বসেছিল সন্ন্যাসী। মুনস্টোন পেনডেন্ট, বাইবেলে লুকিয়ে রেখে অনভিজ্ঞ নান' তার শান্তি স্বস্ত্যয়নে মেতে ফেলে গিয়েছিল ময়লা চাঁদ ও  দূরের গ্রহ থেকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকা জিরাফের যুগ্ম সিল্যুয়েট


মিডল ফ্লোর


গুনে গুনে বারো মাসে এক পরিক্রমা শেষ হয়।  পর্যাপ্ত আদর গিলে নেয় রক্তদাগ। গর্ভগৃহে জ্বলে যৌথ প্রদীপ।তোমার ডান হাতে ডুবে যায় আমার নরম। তাকে অতল বলে জেনেছে, ক্লিশে কাব্য। ওই ভারহীন কাঁধে নিশ্চিন্তে জমা রেখে আসি অমাবস্যা।  ইচ্ছেমতো আড়ালে ঢেকে নিয়ো নক্ষত্রদের গোপন কারসাজি


গ্রাউন্ড ফ্লোর


রাত্রি গভীর হলে, আমার ভেতর থেকে আর এক আমি পায়ে পায়ে এগিয়ে আসে।   কোমর জড়িয়ে হাতে এনে দেয় ব্রাউন-রঙ গ্লাস.... সার্শি থেকে ইথারের শেষ নীল সরে গেলে শুরু হবে বর্ষামঙ্গল