ফুল ফুটুক না ফুটুক

আজ বসন্ত।


শান-বাঁধানো ফুটপাথে

পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্টা গাছ

কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে

হাসছে।


ফুল ফুটুক না ফুটুক

আজ বসন্ত।


আলোর চোখে কালো ঠুলি পরিয়ে

তারপর খুলে –

মৃত্যুর কোলে মানুষকে শুইয়ে দিয়ে

তারপর তুলে –

যে দিনগুলো রাস্তা দিয়ে চলে গেছে

যেন না ফেরে।


গায়ে হলুদ দেওয়া বিকেলে

একটা দুটো পয়সা পেলে

যে হরবোলা ছেলেটা

কোকিল ডাকতে ডাকতে যেত

– তাকে ডেকে নিয়ে গেছে দিনগুলো।


লাল কালিতে ছাপা হলদে চিঠির মত

আকাশটাকে মাথায় নিয়ে

এ-গলির এক কালোকুচ্ছিত আইবুড়ো মেয়ে

রেলিঙে বুক চেপে ধ’রে

এই সব সাত-পাঁচ ভাবছিল –


ঠিক সেই সময়

চোখের মাথা খেয়ে গায়ে উড়ে এসে বসল

আ মরণ ! পোড়ারমুখ লক্ষ্মীছাড়া প্রজাপতি !


তারপর দাড়ম করে দরজা বন্ধ হবার শব্দ।

অন্ধকারে মুখ চাপা দিয়ে

দড়িপাকানো সেই গাছ

তখন ও হাসছে।