ম্যানিফেস্টো 



ওইসব পাখিদের উড়ে যাওয়া দেখি

জাটিঙ্গার দিকে কবুলনামা লিখে রাখা

ডায়েরি পড়ে থাকে বুকশেল্ফের অন্ধকারে

উড়ে যায় সুইসাইড নোট জবরদস্ত ট্যাবু

আর স্নায়ুযুদ্ধ

ছেনাল সময় ফ্লিপকার্টে কেনা ধূসর পাণ্ডুলিপি

অক্ষম পারঙ্গমতা আন্তেনিওর রক্তক্ষরণ

রেখে যায় কথপোকথন



ধোপদুরস্ত ঘোড়াদের সালফার বিকেলগুলি থেকে

যে ঘোটকীরা অর্কিড তুলে নিয়ে যায় অতর্কিতে

তাদের এককোষী অ্যামিবার ক্ষণপদ নেই

তবু ম্যানিফেস্টো তৈরী করবে বলে ঘোড়াদের

রাক্ষসজন্মের কথা বলে উত্তেজিত করে

আড়াইঘরের চালে চায় কিস্তিমাত

বুলেটিন নিংড়ে ফ্লাইওভার পেরিয়ে ভেসে আসে পানপাতা

আর পানপাত্র থেকে নাচতে নাচতে বেরিয়ে আসে

একতারা ও বৈরাগীর আঙুল জাটিঙ্গাতে

সারারাত যে আগুন সেখানে

মেফিস্টোফিলিসের ক্যামোফ্ল্যাজ

চোখ এড়াইনা ফাউস্টের

আর মরা বিভঙ্গ থেকে ছাই ঝড়ে ফেলে

পাখিরাও লাফিয়ে পড়ে ‘আ মুক্তি’ ফিরে যাও

মেফিস্টোফিলিস মরণোত্তর সান্তনা নিয়ে

ফিরে আসছে বেড়ালের প্যারাসাইট আক্রান্ত থাবা





নক্সি কাঁথায় নষ্ট গন্ধ



ওইসব বেড়ালদের বেড়ালপনা জেগে ওঠে

রাতের বেলায় বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বদলে যেতে যেতে

পুরো বেড়াল হয়ে ওঠে পাখি ছাপিয়ে যেতে চাওয়া

নখ তখন গীটারের তারের কাছে রাখেনা

কোনো গান্ধর্ব কথন

নির্মাণ ও বিনির্মাণের ভেতরে জেগে ওঠে

বহুরৈখিক মিথ



আর ভেঙ্গে পড়ে ট্যাবু হল্লারাজার নখ

ছিঁড়ে দিলে শিকারের সুতো রিফু করার

বিনির্মাণ কুশলতা লজ্জা খেতে খেতে

আত্মহত্যা করে উপায়হীন রভস যোনিফুল ছুঁয়ে

রঙরসিয়ার পেশীগন্ধ শুঁকে শুঁকে

রাত কাটাতে যায় পরিচিত ব্রথেল স্ট্রিটে



শিকড়ের ঘরে সেই কবেকার জমে থাকা জল

আর জলেরও যে বাস্পীভবন আছে

একথা জানে এমনকি জগঝম্প কনসার্টও

তাই সিম্ফনির এপিটাফ লেখার আগে

পিয়ানোর রীড যেন ঠিকঠাক থাকে সেজন্যেই

দশ আঙুলে মাখিয়ে নিচ্ছে লুব্রিকেন্ট





বারান্দা



আর এ সময় ব্যালকনিতে দাঁড়ালে বাতাস মনোময় মনোময় বলে ডাক দিয়ে যায়

নিরক্ষরেখার ঘরে কুশপুত্তলিকা পোড়াতে পোড়াতে আগুন

চমকে উঠে দেখে যা পোড়ানো হচ্ছে

তার হাতে তো নিরোর বেহালা নেই



ভিক্টোরিয়ার পাশ দিয়ে যেতে যেতে একটি লেডিজ ছাতা

একটি ঘোড়াকে চোখ মারতে দেখে যেই

শরীরী বিভঙ্গ ছড়ালো

ঘোড়াও লুনেটিক বিভাজিকার কথা ভাবতে ভাবতে

খেঁকি কুকুরদের দলে এসে শুরু করল

এক্কা দোক্কা খেলা

তার চারপাশে ফেনায়িত টানাপোড়েন

মাকড়শার জালে পড়ে কাঁপতে লাগলো ভারসাম্য



তবু বারান্দাকে খুব নিরীহ ভেবে নেওয়ার মতো

ভুল যারা করে তারা তো দেখেনি কখনও

বারান্দার চোখের কোণে খুব ঘন হয়ে

বসে থাকে নিশাকাল

আর তার যে ইনসোমনিয়া তার কোনো জ্যামিতিক গঠন নেই



তবু লিরিকের যথাযোগ্য ধর্ম নিয়ে এই বারান্দাই

দাঁড়িয়ে থাকে ঠাঁই রোদে ভাসান জলে অথবা

শেকড় কুঁকড়ে দেওয়া শীতে মৌনতাকে

ক্ল্যাসিক্যাল অথবা বিটলসের গান শোনানোর আগে

শুধু দেখে নিতে হবে চেয়ারের কারুশিল্প যেন

লোকোকথা ধর্মী হয়

তাহলে ঘোড়াও সুনীলের ক্যানভাসে পোজ দিয়ে দাঁড়াতে পারে

প্রেমিক মুদ্রার