ইন্দ্রাণী পাল
লেখক / সংকলক : ইন্দ্রাণী পাল
যুদ্ধ
ইন্দ্রাণী পাল
একটার পর একটা মশারি খুলে যাচ্ছে
নিরক্ষরেখার ওপর সূর্য লম্বভাবে আপতিত
জানলা শব্দ করে বন্ধ হচ্ছে
সুইমিং পুলে মৃতদেহ
শুশ্রূষাকামী নারী মোমবাতি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে
লাল মোরামের রাস্তা দীর্ঘায়িত হচ্ছে ঘোড়ার খুরের শব্দে
প্রতি মুহূর্তে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে
যখনই শত্রুপক্ষের মুঠি শিথিল হবে, আক্রমণের প্রকৃষ্ট সময়
সিদ্ধান্ত নিতে না-পারা মাকড়সা জলে নেমে যাচ্ছে
ভাঙাচোরা আয়নায় ততোধিক প্রতিবিম্ব
বিষ কন্ঠনালি থেকে নেমে যাচ্ছে
পায়ের পাতা মাংসের ভারে ফুলে উঠছে
শিরদাঁড়া শক্ত রাখতে হবে
প্রতিমুহূর্তে পাল্টা লড়াইয়ের জন্য
হাত বাড়িয়ে ধরতে গেলেই মাথা টলে যায়
যুদ্ধক্ষেত্রে কয়েক কদম পিছিয়ে যাওয়াও রণনীতির কৌশল ।
নিরাময়
সেরে যাওয়া প্রতিটি ক্ষত যন্ত্রণার স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে
ম্যাস্টিফ আপেল চিবোতে চিবোতে
তালাবন্ধ ঘরের দিকে চলে যাচ্ছে
যখন আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব চিনতে পারে না সাতদিন
বন্ধ দরজার কেবিন। যুবতী লাইটহাউজ
একটি জাহাজ পানামা খালের দিকে চলে যাচ্ছে
প্লেট লাফিয়ে নামছে ; কাচের টুকরো এসে বিঁধছে
প্রতিটি আপেল অন্য আপেলের গলা টিপে ধরছে
সেরে যাওয়া ক্ষতে শুকনো চামড়া খসখস করছে
একবার ব্রাশ বুলিয়ে নেওয়া দরকার
শেষবারের মতো ওয়াশরুম খুঁজছি।
প্রদীপ
একটি চিৎকার মিশে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই
বারুদের গন্ধে রাত্রি এল
প্রসারিত বুক আর ডালকুত্তার খুবলে নেওয়া চোখ
আস্তে আস্তে রক্তে ভরে উঠছে এলোপাথারি বুট
বাতাস কেটে যাওয়া বেয়নেট
বেড়ার ওপাশে আধখানা দেহ ছটফট করে ওঠে----
রাত্রি এল। দরজায় আলো হাতে
মা।