সোনামাখা রোদে

স্বাতী নাথ



ধান কাটা মাঠ জুড়ে শুকনো সোনালী

খড়ের বুকে,

লেগেছিল সোনামাখা রোদের

ঝলমলে হাসি,

নবান্নের মুগ্ধতায় কৃষকের ঘরে নতুন

ধানের সুঘ্রাণে,

মাতোয়ারা কৃষাণীর হৈমন্তি আঁচল,

সবুজ গাঁদার গাছে হলুদ, লাল ফুলগুলো,

সৌন্দর্যের ইতিকথা বলছিল মধুকরের

চোখে রেখে চোখ,

শীতের সরোদ শুনে, কুয়াশাও কন্ঠে

ধরেছিল গান,

পৌষের কাছাকাছি শেষদিকে তখন

অগ্রহায়ণ ।

হলুদ গাঁদার মতো,

হাতে,কাজল চোখে,

লেগেছিল রবি শষ্যের মুগ্ধতা,

সরিষার ফুলে যার হাসি খেলে

গেছে অনুখন।

শিশিরের গঙ্গা বুকে স্নান করে শেষ

হলো,

গাঁদা গোলাপের লাজুক পাপড়ি

শোভিত স্নিগ্ধ রাত,

পৌষের কাছাকাছি সেই অগ্রহায়ণে,

শীতের বুকে হেমন্ত দেখেছিল,

ছন্দহীন কবিতার এক ছান্দসিক সুপ্রভাত



হামদের ভাসা


হামদের দিনগুলান ই বার বদলাই যাইবেক গ

গেরামে অখন ইস্কুল হুঁইছে না

ছেইল্যে পুলারা পড়ালিখা সিইখ্যে

সহরে কলেজে যাইয়ে বিএ এইমএ পাস দিয়ে আইছ্যে

উয়ারা গেরামে গেরামে ঘুইর‍্যে কুনটা ভাল অ মন্দ অ সিখাইছ্যে

মরদগুলানকে বুঝাইছ্যে লেসা ভাং কইরল্যে সরীরের কি নুকসান হয়

জমীন চাসের লয়া উপায় বইলছ্যে

আগ্যে হামরা বিড়ি বাঁইধতম, সাল পাতা দিয়ে হাতে থালা বানাইতম

অখন মসিন আইছ্যে থালা বানাইবার

হামদের ছৌ লাচ ট, ঝুমুর লাচ ট র বড় মাইন হুঁইছ্যে

বড় বড় পোরগেরামে হামদিগে ডাকা হয় লাইচবার 

লাইগ্যে

হামদের গান সব্বার খুব মুনে ধইরেছ্যে

অনেক কিছু হুঁইছ্যে গেরামে, জলের লাইগ্যে কলট বসাইছ্যে

ছৌ লাচের মুখটা, গয়না সব কিনে লিইছ্যে

সব ঠিকই হুঁইছ্যে, 

কিন্তু হামদের ভাসা অলচিকি অখনো মান লাই পাইছ্যে

তাই উয়ার লাইগ্যে হামরাও উইঠ্যে পইর‍্যে লাইগছি

হামদের ভাসাতেও লিখাপড়া সিখাইত্যে হবেক

হামদেরও সমাজে মাথা উঁচু কইর‍্যে থাইকবার হকট আছে

উয়ার লাইগ্যে একজুট হুঁয়ে সরকার কে জানান দিছি।