হাটে-মাঠে-গঞ্জে-ঘাটে সুদূর গাঁয়ের পথে

নদীর তীরে, বালুর চরে, সমুদ্র সৈকতে

ছড়িয়ে আছে জীবন যেন আনন্দে আটখানা

তুমিই যে তার ভাগ নেবে না তোমার শুধু মানা।

ও-জঙ্গলে দোয়েল নাচে, শালিক ডাকে গাছে

ঘুঘুর ছানা মিটমিটিয়ে হয়তো চেয়ে আছে

বুলবুলিটার লাল টুপিটা দেখার নেশায় মেতে,

টুনটুনি-বৌ আবাক হয়ে রাখে দু চোখ পেতে,

ও-জঙ্গলে বাতাস মিঠে, মিঠে ফুলের হাসি

তারও চেয়ে মধুর মিঠে বাঁশের পাতার বাঁশি

তবুও তোমার ও-দিকটাতে যেতে বিষম মানা,

ছাতিম গাছে লুকিয়ে আছে মুণ্ডু কাটা ডানা।

সাগর দিঘির তীরে তীরে ধান সবুজের মেলা

কচি ধানের হাজার শীষে সোনা রোদের খেলা।

ফড়িং-পায়ের নাচন কেড়ে নাচে মেঘের মায়া।

জল-পুকুরে আকাশ দেখে নিজের সুনীল কায়া।

মাছরাঙা তার রাঙা ঠোঁটের পরখ করে ধার

সাগর-দিঘির চতুর্দিকে খোলা খুশির দ্বার,

তবু তোমার ও-দিকটাতে যেতে বিষম মানা

জলের দানো হঠাৎ রেগে দিতেই পারে হানা।

দক্ষিণে যাও বারণ আছে, পশ্চিমে যাও মানা

উত্তরে যাও নিষেধ আছে, পুবে আগল টানা।

সবাই যখন হাসে-খেলে বন্ধ তোমার খেলা

একলা তোমার চতুর্দিকেই ভয়ের থাবা মেলা।

পালিয়ে যাবে কেবল তখন হার মেনে সব মানা

তুমি যখন সাহস করে হবে হার-না-মানা।