সব অতীত 



রীতা বিশ্বাস পাণ্ডে




কক্ষচ্যুত শোনায়, শব্দ বিয়োগ

অথচ

তাঁদের মাথায় শিরোনামা।

হুমম

শব্দগুলো ধীরে ধীরে ভূগর্ভস্থ



রক্তবর্ণ স্কার্ফ ও কাল ব্লেজার

কুলীন নারী

অণুর বাগান একটি উজ্জ্বল হলে রূপান্তর

ফ্যাকাসে চাহনি

রাতের উড়ন্ত পাখী

উথাল মাতাল শব্দ চয়ন

আর

শব্দ বিয়োগ








রামুআ


   

গঙ্গা পারের মন্দির টা তে রামুআর বাস।

যাত্রীদের প্রসাদ বিতরণ ই তার কাজ।

মাকে দেখেনি কো সে কোনদিন।

কিন্তু কন্যা অন্ত প্রাণ তার কন্যাতেই তার বাস।

উচ্ছল চঞ্চল কন্যা অরিত্রি।

বুঝে সে যে বাবার দু:খ তাই তৎপর সদাই।

হাঁসিতে গানেতে মিটিয়ে দেয় সে যাত্রী দের থকান।

আঁচল মেলে ধরে একাট্টা করে নেয় টাকা আর কিছু পয়সা।এটা তার রোজকার কাজ।

রামুআ মেয়ের পয়সাতে দেয় নাকো হাত। একটা গুল্লকে সে ভরে দেয় বেটি অরিত্রির কামানো পয়সা। মনে আশা একদিন বিটিয়ার শাদি তে লাগিবেক এই পয়সা।

কিন্তু.... কিন্তু সারাদিন গিয়ে বিকাল হল, অরিত্রি ফেরেনি কো রামুআর খেয়াল হল।

সকালে বেরিয়েছিল মেয়েটা কিছু না খেয়ে।,

মন্দিরেতে বিশাল ভোজ আজ সেটা ই খাবে বলে।

ভোজ বিতরণ কালে সে দেখেনিকো মেয়েকে। বিকাল গড়িয়ে রাত হল মেয়ে না ফিরিল।

তারপর..... তারপর কতো রাত গেল দিন গেল তার হিসাব নাই। গুল্লকের পয়সা গুল্লকেই থেকে যায়। রামুআর বিটিয়া আর ফিরে নাই।






নূতন ফ্রেমের খোঁজে 






নীল দেওয়ালে অজস্র ছবি।

কোনটা ছোট কোনটা বড়

কোনটা গোল কোনটা চৌক।

তা ও তারা একে অপরের গা ঘেঁষে দারিয়ে আছে।

না না দারিয়ে নেই চলছে একের পর এক ছবি হুড়মুড় করে চলছে।

থিরথির করে কোন টা দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠছে।

আবার কোনটা নির্ভয়ে দেওয়াল বেয়ে নেমে যাচ্ছে।





একটা রোশনি দেওয়ালে এসে পরতেই দেওয়াল টা আবার গভীর নীল হয়ে গেল

ছবি গুলো সব ভেসে গেল শূন্যে।





দেওয়ালটা জীবন্ত

মাছরাঙা পাখীটা তার রঙিন পাখাদুটো জল মুক্ত করে উড়ে গেল মুক্ত আকাশে।

কোন নূতন ছবির ফ্রেমের খোজে।






তুমি এলে না 






যখন অন্ধকার হিংস্র,

তোমার আসার অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম

তুমি আমার জানালার নীচে

এমন ভাবে দাঁড়িয়েছিলে যেন

এক ছিট কাপড়ের উপর

কালো এমবসড লেখন

হস্তনির্মিত না সত্যিকারের ফুল

 অস্বাভাবিক হালকা রং যেন

বিশ্বের সুন্দর লেপটে আছে

এক গান হঠাৎ নিঃশ্বাসের

গরম ছড়িয়ে প্রসারিত হল



ওষ্ঠ প্রাঙ্গণে নিঃশব্দে।

যখন অন্ধকার হিংস্র

তোমার আসার অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম।

পুরনো পরিকল্পনা যত

ভেস্তে গেল হল বিচ্ছিন্ন

ঘূর্ণমান সময়ের মাঝখানে অদৃশ্য

একটা সুরের মিলন ,যেন

অনেকটা বিচ্ছিন্ন এক পাখীর

মিলন মধুর শব্দ।

চমকে পেছন ফিরে দাড়াই

সামনে বছর পুরানো আয়না

অজস্র মৃত্যুর তাকানো

অবশ্যই পরিত্রাণ পেতে তাকানো

ভুলে যাই হারিয়েছি তাঁদের

বাস্তবের নিদারুণ ছলাকলাই।

কি নিদারুণ অকপট সত্য

কে করবে তার বিচার।

যখন অন্ধকার হিংস্র

তোমার আসার অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম।

তুমি এলে না।






ক্ষুধা






আমার জঙ্গলের মধ্যে সবুজ বসন্ত

এখন তো আমার শেষ হতে পারে না ।

একটি মৃদুল বসন্তে থির থির কম্পন কচি পাতাগুলোতে

নম্র ভদ্র ভাবে অমায়িক কথা বার্তা।

সবুজ সবুজ আর সবুজ সব দিকে ছেয়ে আছে

স্বপ্ন গুলো খেলা করছে যেন তারই মাঝে

মনোহর প্রত্যুষ চারিদিকে

আমি ক্ষুধা নিতে চাই

আরও সবুজ দেখার ক্ষুধা

জীবন হল জীবন

আমার ক্ষুধার কাছ থেকে

অনেক বেশি বড় হবে,  দিগন্ত

তাই এখন তো আমার শেষ হতে পারে না।