সঞ্জীব নিয়োগী
লেখক / সংকলক : iPatrika Crawler
আগুন বিষয়ক জলসিঞ্চন
।।০১।।কম্পন।।
একটা কাঁপছে
কম্পনের কেউ নেই
একা একা চিরকাল কাঁপে...
ছবি কি আমি বুঝি
ছবি তো আমি বুঝি
ছবি ছাই আমি বোকা*দা কিছু বুঝিই না!
তখন ছুটে আসে পাতকুয়োর গুম...
আজ কি কাল কিছু সাযুজ্যে চলে আসে ঘুমের ফেলনা গান
ফেলে দিয়ে ঘুম মুছে ফেলি
কেঁপে ওঠা হাজারো দিকে
গমন ও নিদ্রা আর গাঁড়ে মারা লাথি
আসেনি সেরকম কিছু যা হারিয়ে যায়
গাছ থেকে পেড়ে আনা হলো লেখালিখির টেবিল
হওয়ায় উড়েছিল
জেগে থাকা রুমাল
একটা
কাঁপছে
রুমাল
চিরকাল কাঁপে মজবুত ভিতের হৃদয়
স্থিতি ফেরে কি ফেরে না
মহাকাব্যিক কোনোও প্রতিপক্ষ জনজীবনের সাথে বাঁচে
নানারকমের কথার আবেগ দিয়ে
বানানো একটা সময় আর
যথারীতি
গুমখুন শরীরের গন্ধ
পাতকুয়োর ভেতর থেকে ডাকে (এসকল, বস্তুত, কবিতা লেখার ছলে মিচকে শয়তানি!)...
ফল খেতে ভালোবাসি
পাখির মতো ঠুকরে
আমি কি ফল চিনি ছাই, নিঠুর হারামি
কী ফল চিনি আমি দুপাশে ভাগ হয়ে যাওয়া
ঘিলুময় মাথার বিষয়
ফলাফল-রক্ত আর অন্ধকার ছবি...
।।০২।।ভালোবাসি।।
হাসতে হাসতে খিদের মধ্যে চালান করে দিচ্ছি
বিষ
বাঁচিয়ে রাখতে চাই
ট্যুরিস্ট স্পটের পাথরে তোমার নাম
হাঃ হাঃ
মা*রচো*!
পুরুষের মুখে শোভনীয় একটি পাথর
যাচাই করে নিচ্ছে
বেঁচে থাকার জন্য রুটির গুণাগুণ
ঢুকতে দেওয়া হবে বৈধ পিতার অনুমতি ছাড়াই
রূপ সামলিয়ে কথা বল তুই মেয়ে
পেশি সামলিয়ে পথ চল তুই ছেলে
কী ভালোবাসো নির্দিষ্ট করে বলো
গু*র গন্ধ না ম্লান হয়ে আসা বিকেলে শুকনো মুখ
আবার বলো, পিছল
*দের কাছে কী চাও
বলো, বাঁ*,
* ড়া বলো দেখি!
শালা মিহিন জোচ্চোর!
ভালোবাসি? শালা! ভালোবাসি!
।।০৩।।নির্দিষ্ট।।
তুকতাক এখানেও লেখা...
অন্যায্য দাম দিয়ে তুলে নিয়ে গেলে ভালোলাগা
কিনে নিলে, মাগী ও মরদ?
ঠিক যেরকম মরদের মাগীর মরদ মাগীর মরদেহ মরদের মাগী ও মরদ!
ফুল ঝরে গেল? উহু উহু আহা আহা
কেঁদেছি বাতাসে
শোরগোল তুলেছি আমিও অহরহ
যদি, লেগে যায়, লাগসই
প্রস্তুতির ছিপ!
।।০৪।। আগুন।।
ভিজে থাকে, কাউকে না বলে
অনুমেয়
চোখের কাজলে...
হরিণ যদিও লজ্জা পায়
চোখে চোখে খায় ও খাওয়ায়
।।০৫।। বিষয়।।
চিৎ হয়ে শুয়ে বিকেলের গুণীজন
সকালের খবরে পেদেছে
ওঃ ওঃ
মাইরি, আধেক বর্ণপরিচয়
বাকিটা গুলিয়ে দিয়ে বেরং এর দিকে...
বেঁচে থাকা, বৃক্ষের উপরে গাছ হয়ে
জেগে থাকা, চুমুর দৃশ্যে কাঁচ হয়ে
বারবার
যেহেতু একটা নয়
অনেক টুকরো
তাই ভাঙে
গুণাগুণ ভেসে যায়, বাঁড়া, গোষ্ঠি শাসিত বদ্ধ জলে