বহতা নদীর মতোই এ জীবন



বহতা নদীর মতোই 

এ জীবন বয়ে চলছে ঠিক, 

চেয়ে দেখো সেই কবে শুরু করেছি দিন-

মোহ মায়ায় জড়িয়ে দুজন। 


বইতে বইতে আজ এখানে

কাঞ্চনপুর থেকে মির্জাপুর, পশ্চিম বংশীনগর। 


চাওয়া পাওয়ার বিপুল আকাঙ্ক্ষায় 

স্বপ্নজাল ফেলে কতই না ধরেছি মাছ, 

পুল পার হয়ে হিজলতলীর বাঁকে। 


দিনরাত উজান ঠেলে ঠেলে

কতবার খেলেছি ডুব সাঁতার, জলকেলি, 

গলাছেড়ে গেয়েছি গান আনন্দে তা থৈ! থৈ! থৈ! 


উদাসী ব্যাকুল সুরে 

তুমি আমি শিখেছি কবিতার পাঠ, 

ধ্রুপদী যৌবনের পরিভাষা-

ছন্দশীল সরল ব্যাকরণ। 


বহতা নদীর মতোই এ জীবন

দুকূল ছাপিয়ে একদিন শুরু হবে প্লাবন!

ঝড় ওঠবে, ঢেউয়ে ঢেউয়ে ক্রমে হারাবে গতি। 


তুমি আমি ভুলে যাবো সব

মায়ামোহ, শৈল্পিক ভুবন

বিগত দিনের গল্প, ফেলে আসা স্মৃতি। 


শুধু, জেগে থাকবে অমর আখ্যান, 

ভালোলাগা, ভালোবাসা, প্রেমময়, ছন্দময় গীতি।