ভুটিয়া যুবতি চলে পথ;

আকাশ কালিমামাখা কুয়াশায় দিক ঢাকা।

চারিধারে কেবলই পর্বত;

যুবতী একেলা চলে পথ।

এদিক-ওদিক চায় গুনগুনি গান গায়,

কভু বা চমকি চায় ফিরে;

গতিতে ঝরে আনন্দ উথলে নৃত্যের ছন্দ

আঁকাবাঁকা গিরিপথ ঘিরে।

ভুটিয়া যুবতি চলে পথ।

টসটসে রসে ভরপুর–

আপেলের মত মুখ আপেলের মত বুক

পরিপূর্ণ প্রবল প্রচুর;

যৌবনের রসে ভরপুর।

মেঘ ডাকে কড়-কড় বুঝিবা আসিবে ঝড়,

একটু নাহিকো ডর তাতে;

উঘারি বুকের বাস, পুরায় বিচিত্র আশ

উরস পরশি নিজ হাতে!

অজানা ব্যাথায় সুমধুর–

সেথা বুঝি করে গুরুগুরু!

যুবতি একেলা পথ চলে;

পাশের পলাশ-বনে কেন চায় অকারণে?

আবেশে চরণ দুটি টলে–

পায়ে-পায়ে বাধিয়া উপলে!

আপনার মনে যায় আপনার মনে গায়,

তবু কেন আনপানে টান?

করিতে রসের সৃষ্টি চাই কি দশের দৃষ্টি?

–স্বরূপ জানেন ভগবান!

সহজে নাচিয়া যেবা চলে

একাকিনী ঘন বনতলে–

জানি নাকো তারো কী ব্যাথায়

আঁখিজলে কাজল ভিজায়!