শব্দশব- ফেস | ইন

আলী আফজাল খান

 



‘গাছবাড়ি’তে এমন শব্দ আছে যা কষ গড়ানো এবং ঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যা

কালো চশমার চোখে যে অদৃশ্য হয়ে যায়

ঘোলা ব্যথার আলো নিয়ে কেবল সানকিতে জন্মায়

চিরচিরচিরচিরচিরচিরচিরচির

শুকনো শুকনো

উজ্জ্বল সাদা পাথর আকৃতির


ব্যথার মরিচ এবং লবণ হাওয়াই

এখনো আছে উনুনের পোড়া কাঠের ছাই

ডুগডুগির আওয়াজে যে পরিযায়ী পাখি গিয়েছিল

আগলানো দুর্গের কন্ডোভিলে

গানটি আসছে তার

দাফনের কফিন গাছ থেকে


"না" কেটে কেটে ধানডানার গান

যারা লকডাউনের ওজনে চুনোমাছ


এরাই ওস্তাগার, বাবুর্চি, ধোপা, দারোয়ান, কুলি, ফেরিওয়ালা, মেকানিক, ঝাড়ুদার, মুটে, মজুরে কিংবা বুয়া- অধুনান্তিক অস্পৃশ্য ফেস | হীন



হাইওয়ে জুড়ে দীর্ঘ মিছিল

পা-জামার গাছগুলো আজ কাঁপছে পা|হীন

জ্যান্ত পোকার ছড়া জীবাণুর মতো ঘিনঘিন


ফ্রগজাম্প গা-ধুয়ে দিচ্ছে রাসায়নিক মেশানো জলে

তারা কিমাকার লরিতে, ট্রাকে, বাসে, রেলে

মাইলের পর মাইল ফেরার দরজায়....


শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্রপাতি না ধানের গোলার প্রার্থনা,

কার কাছে ফিরবে শব্দ, ঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যানঘ্যা?


উৎসর্গ: করোনা মহামারির শিকার প্রায় ৪০ কোটি ভারতীয় ‘মাইগ্রেন্ট লেবার’, যাদের কর্পোরেট মিডিয়া নাম দিয়েছে ‘পরিযায়ী শ্রমিক


 

 


প্রকৃতি-পুরুষ জোড়


ঊষের তপ্ত পুরুষ প্যাঁচে ধরে রাইপ্রকৃতি

দুই তীরে ষড়রিপুর আনচান

দলাদলা, নিখাঁদ আনন্দে মন্থন


 


ক্ষীনতোয়া নহর পায় ঠোঁটের লাক্ষা রস

অত:পর, ডেউয়া ফলের মতো কুচুযুগল

স্তনের মোহন চূড়ার জামফলে জীবন্তজিহ্বাটুকু শিরশির

 

চু


চু

অজস্র উথালে চিৎপুরুষ

বর্ণের দেহে বর্ণে যুক্তাক্ষরে ফলা

নবরূপে ফোটে ফুল

 

শাটার চিরে পটচিত্র উজল উজাড় ফল জ্বলজ্বল

আলোর সরু গাঙ মুখে মোহনিয়া নয়াচর চচ্চর

পা পা-হীন রাই অঙ্গে শ্যাম অঙ্গ পুরে


 নাম আর ক্রিয়ার লাগালাগি

মন দেহরে দেয় দ্রুতি, কৃষিকাজে ফলন দেখাদেখি

পুরুষ-প্রকৃতি সম্পর্কঃ পুরুষের পুরে প্রকৃতি বিকশিত হচ্ছে যেন অন্ধের স্কন্ধে খঞ্জ