র‌্যাফটিং

বিদ্যুৎলেখা ঘোষ 



ঢেউ উঠলো

ঠেললো দু কদম

আলতো দোল

উঠে কিছুটা আবার আধডোবা

এই তার চাল চলন 

অস্থির রাখে সঙ্গতি হীন

সৈকতে আপেলের বীজমালা

কালো কালো ক্ষয়ে যাওয়া

অস্ফুট কিশোর প্রেমিক থেকে 

পোড়ো গাছের গুঁড়ি

পায়ে পায়ে নিশ্চুপ স্বীকার

শিকার হয়েছি কখন তাও অজানা

তুমি অথবা মেঘল সমুদ্রের গান

তফাৎ কোথায় এখনো বলেনি পাখসাট ।।




সেদিন এ বসন্তে


কাঁধে শমন অদূরে মারী বীজ তবুও বসন্ত 

পারিপার্শ্বিকে এ ওর সঙ্গে নতুন করে 

রাঙিয়ে দেওয়ার কথা বলে অস্ফুটে যখন

প্রিয় মুখ প্রিয় স্বর কেবলই হারিয়ে যায়

একলায় ভরা শহর ছেড়ে গীতখোলার পাড়ে

বিরাট এক পাথরের উপর বসেছিলাম

আর নদী পরিয়েছিলো পায়ে জলঝুমুর

তবুও পাহাড়ি মেয়েটার সঙ্গে 

সুরে ছন্দে তাল মেলাতে পারিনি

পাথুরে মাটি ফুঁড়ে শাখায় শাখায়

আগুন আগুন মেলেছে পলাশ

অপেক্ষা আর যত কাঙালপনা

ভিখিরি নুড়ি কাঁকর হয়ে বিছিয়ে আছে


কতদিন সাজিয়ে দাও না এলোমেলো চুল

পাঁচ বছর মেয়াদী বহুরুপীও ডেকে বলছে

' খেলা হবে খেলা হবে ' 


শুনতে পাও ?


রাজপথে দাঁড়িয়ে চাষীদের ছোট ছোট শিশু

বলে গেছে হিসেব মিলান্তি পরিকল্পনা


শুনতে পাও ?


হয়তো বা এমন একটা খেলা খেলবে তুমি 

নারী পুরুষ সবাইকেই মনে হবে আরক্তিম সূর্য

আমি হবো আরো নতুন বসন্তের মহুয়া রমণী ।।


ভ্যালেন্টাইন্স সোনাটা 


কোনো কোনো দিন নিদাঘ

 বিশেষ দাগ

সাজাবো আমাকে 

দুধ থেকে দন্তহীন বৃত্তায়ন

এইসব ক্রমাগত প্রেমিক

কেন্দ্রাতিগ ঊর্ণনাভ

রুমঝুম থেকে সোনাই থেকে রুমঝুম

যাদু আছে বলে ফাঁকি সাত রং

গেরোস্থালি বুকে নিয়ে

ধীরে চলে মালবাহী ট্রেন 

পেরিয়ে যাওয়া রেললাইন

ওইখান থেকে আসে তাপবিদ্যুৎ 


# চলে যাবো যখন

নতুন জুতোর বাক্সে তখনো 

থেকে যাবে কিছু জমানো তেহাই ।।