খনন



সৈয়দ হাসমত জালাল




আজ এক প্রত্নজীবন খুঁড়ি, যেখানে মৃত্যুর তন্ময় ছায়া
ছড়িয়ে রয়েছে গাঢ়, উদাসীন...
ভাঙা পাথরের দেবী, বীণাটি অক্ষত আজও
শীতাবসানের শিরশিরে হাওয়া বয়ে যায় তার ছুঁয়ে ছুঁয়ে
আর সুর ওঠে স্তব্ধগহন থেকে,
পাতালপৃথিবীর বুকে ওঠে ঝড়,
কীকরে তা ধারণ করবে দু'হাজার বছরের কঙ্কাল---
দুটি হাত খসে পড়ে, পাঁজরের হাড় খসে খসে যায়,
করোটির ভেতরে জমেছে মেঘ
অন্তর্লীন চকিত বিদ্যুৎগুলি,
চোখের কোটরে ক্ষীণ ঝরনারেখা আর
ইতিহাসগ্রন্থের পাতায় পাতায় থমকে থেমে থাকে সেই
মেহরোলি রোড, কুতবের পাশে ধূসর উটের গাড়ি ...
বাংলার গেরুয়ামাটির পথ, বাউল-বৈরাগী, ভক্তের দেশ..
আরবসমুদ্র আর খাড়িসভ্যতা...
ফাল্গুনের নীলাভ আকাশে যুদ্ধ ও জন্মের হাহাকার...
সেইসব অসাড় জীবাশ্ম খুঁড়ি
আর নিঃঝুম শূন্যের ভেতর কলকল প্রাণস্রোতের
শব্দ শোনা যায়