পায়েলী ধর
পায়েলী ধর
লেখক / সংকলক : iPatrika Crawler
কিছুটা কবিতার মতো
খোলসের ভেতর তোলা আছে তুলতুলে মাংস।
যার অর্ধেকভাগ জল আর বাকিটা তৃণ।
হলদেরঙা ভূর্জপত্রে স্বপাকে সাজাতে হবে-
দৈত্য- দেব এবং আত্মকে।
আমারও বিধান ভেঙে স্রোতকে শেকল পরানোর কথা ছিল।
বাঘবন্দির ভেলকি শেখাতে গিয়ে মুঠোভর্তি মেঘ কে জানিয়েছিলাম-
গায়ে জোয়ার এলে, ভেসে যেতে ছাড়পত্র চেয়ো না।
ঘরময় লেগে থাকা পরিযায়ী শ্বাস লুকিয়ে দেখেছে-
কেমন করে জন্মদাগ ভিজে গেছে ভনিতা ছাড়াই।
ইচ্ছেমতো ভেক ধরেছে ঈশ্বর।
তার ক্ষণজন্মের সাক্ষ বুকে প্রদীপ শিখেছে-
রাতের চোখে ঠুলি পরানোর সহজ কৌশল।
একটু নুন- একটু ধোঁয়া- একটা পরাগ- একজন কেউ-
জনান্তিকে বলে গেছে--
পেরোনো পথের চিহ্নগুলো স্মরণিকা হবে না।
অজস্র ধুলো ও ধূসর ঘেটে যাচ্ছে অনিঃশেষ শব্দকোষ।
কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে বলেই সময় এখন বোঝে,
ইতিহাস মানে ভস্মের সামগান।
ঈশ্বর
কুসুম শঙ্কাশং সূর্য গলে পড়ছিল শূন্য মাটিতে।
চেতনার রঙ সেখানে মুক্তোর মতো সাদা।
তাতে বর্ণ চড়েনি পান্না বাহারি।
যেমন করে প্রতি জংশনে থমকে যায় পথ,
আমার ঈশ্বরও তেমনই দাঁড়িয়ে পড়লেন হঠাৎই।
ঝোলা ভরা আপেল আর পারিজাত হাতে।
"বাঁশি এনেছো আগুনের সেনাপতি?"--বলামাত্র,
জোব্বার পকেট থেকে তুলে দিলেন একটা স্রোতোস্বিনী নদী।
হুবহু আমার মতো।
সেই থেকে স্রোত ও নুন বিষয়ক গল্পদের প্রেম বলে জানি
শব্দের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে দ্বন্দ্বময় রাত আমায় ঈশ্বরী করে।
আর স্বপ্ন খুঁটে লাল কালিতে চিঠি লিখি আগামীর কোনও ভ্রূণের জন্য।
বোগেনভেলিয়া এরপর দুয়ার খুলে দেয়।
চকমকি ঠুকে প্রদীপ জ্বালি।
সোনার নৌকো ভরে ঈশ্বর দিয়েছেন অজস্র জিয়নকাঠি।
তাদের সাজিয়ে দিই গোধূল বেলার কথা কাহিনীতে।
আমার তণ্বী গায়ে এখন স্পর্শকাতর কাঁটা।
তাতে আদর দিচ্ছে বেওয়ারিশ হাত।
আমি ওদের তোতাপাখি।
অনুগত পোষ্য অথচ ভক্ত নই।
ধরা দিয়েছি গো আমি। নতজানু মাথা। অভীষ্ট ডোঙ্গল মেয়ে।
উপচে পড়া পানপাত্রে চুমুক দিলে স্পর্শ পাবে ঠিক।
পাবে প্রভুত্বের দাবী।
মরি লো মরি আমায় বাঁধনে বাঁধছে স্খলনের লাইমলাইট।
দেবতা বলেছেন জ্যামিতিক কোণে পা ফেলো,
সাপের মতো সিঁড়ি ভেঙে উঠে পড়ো, ঘুমে।
তন্দ্রা ছড়ানো বিছানা...
আমি স্রোত হচ্ছি
সুর হচ্ছি
হচ্ছি ব্রহ্ম।
সমস্ত পথগুলো দিকভ্রান্তের মতো ছুটছে।
একটা বোধি বৃক্ষ হয়তো জন্ম নিয়েছে কোথাও....
Review Comments
সোসাল মিডিয়া কামেন্টস