যেখানে ঈশ্বর পাঠান আমাকে



১.

সভ্যতার অভাববোধে আমাকে যেতে হয়

যে রাস্তায়, কারোর বউ দাঁড়িয়ে চান করছে বলে

ভিড় জমে,



সেখান থেকেই

শুরু হয় বাগান



অসভ্যতার অভাব নিয়ে যায় সেই সব মেয়েদের কাছে

যাদের সায়া বুকের ওপর করে জড়ানোর কোনো ট্যাবু নেই

ঘরে ঈশ্বরকে দাঁড় করিয়ে



খুন করার মতই তারা খুলে দিতে পারে

দরজা,



হাট



বসার অপেক্ষা

তাদের

আমার দাঁড়ের সামনে



একটা পাখীর মৃতদেহ

খুবলে যাচ্ছে আরেকটা পাখী



এইসব বাগানে পায়চারি করেন না ঈশ্বর



২.

পিপাসায় মুখের একদিকে চিকলেট চেপে ধরা

আরেকটা দিক ফাঁকা দেখে



ঈশ্বর

জায়গা বানান



একটা বুকের ণত্বষত্ব



সেখানে স্পার্ম কাউন্ট করতে পাঠান

সেই সব অভাগা যোনিদের, যারা



বীর্যাভাবে বন্যা দেখেনি,



তারা অন্ধ ভিখারির চেয়েও ক্ষুধার্ত

চোখে দেখে সংকোচন প্রসারণ



সেখানে দরাজ আঙুলে আমি

তাদের বন্যা শেখাই

কারণ, গাজরের ফলন দেখেনি তারা কোনোদিন



৩.

রক্তদানের সময় পিছমোড়া করে হাত বেঁধে

আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সব



গেরিলা অঙ্গের কাছে,



দেখা দেবার কথায় যাদের বড় হওয়া হাঁ,

অন্ধকার তাতেও



একটা পাট করা কাপড়ে আমাকে মুড়ে রাখার বিধান

দেওয়ার পর ঈশ্বর বিশ্রামে যান

জবাগাছের পরিচর্যা করেন



সেই সব মেয়েরা ফুল ফোটানোর সময়

রঙ চায়, কথা শোনায় রক্তাল্পতার

আমার রক্তদানের কথায়



অট্টহাসি



চুঁইয়ে পড়ে, মুখ নত করার জন্যই যেন

এখানে বাঁজা জমি সৃষ্টি হয়েছে