রমিত দে
রমিত দে
লেখক / সংকলক : iPatrika Crawler
আসসাদ
ন্যাসপাতি কাটতেই গড়িয়ে পড়ল নামহীনতা...
খোসার বয়ায় চা বসিয়েছে আবহমান
কেউ দেখছেনা চারপাশে শুধু স্নানটির অপেক্কা
কেউ দেখছেনা শুধু রাত করে ফেরে রক্ত
আর ঝিমোয়
আর মাংসের ভেতর টপ টপ করে ঢুকে পড়ে
মাছরাঙার লুটপাট ...
বিপুল এক ভিক্ষার ঘরে ভবঘুরে নামের একটি
একটিই মাত্র দরজা ভাঙার যন্ত্র
বাটি ভরে ধরো ওই ভরাডুবি
ঢিল বেঁধে ফ্যালো পতনগুলি জলের নাফায়
একটি সাঁড়াশির আয়তন চেয়ে একটি সামুদ্রিক ইলিশ
সে ছিঁড়ে পড়ছে একটি গনগনে চুরির ছায়ায়
মাখো, তরুনী মোরোব্বার ভেতর মাখো মাটির সবটুকু
জানি, বিশ্বাস হবার কথা নয় তোমার পায়ের কাছে বসে
তোমার পা-ই তোমার দিকে হাসছে
আর কোণাকুনি অস্বীকারের নৌকা খাচ্ছে আলোর বিশপ
কালো বুনো ন্যাংটো মরদের লোভ কি হচ্ছে না মেঘেদের !
ধনুকের মত বাঁকিয়ে অনন্ত ধামসার গ্রাম
আসসাদ আসসাদ
এই সেই চুরির পরিত্যক্ত ...
খুব সকালে এখানেইতো হাত দুটি শক্ত করে ধরো
হরমোন নিয়ে পালাও ওগো হিংয়ের কচুরি...
অকলুষ ভেজাটুকু
ধুঁদুল খোলে গা ঘষে নাও হে দিগন্তঝোঁক
ফেনাটা বেশ লাগে
শালুক সেদ্ধ নিয়ে কেমন শীত চলে যায়
আর চোখে পড়ে মানুষের ভেতর পড়ে থাকা একটা বড়ো মাঠ
এক একটা সাবান মোটেই কথা শোনেনা
ডিমের ভেতর সিন্দুক ভাঙার শব্দ হলে
আর সর্দি কাশি বেড়ে গেলে
মণিপুরের মই ধরে উঠে আসে অর্গানিক কাঁঠাললতা
যে রং আছে বঁড়শির নাভিতে
যা বিচ্ছিরি রকমের সাদা
যা ভীষণ রকমের ঠান্ডা
সেই সারাদিন জুয়ো খেলেছে জলের সাথে
ওখানেই, একটূকরো সাঁতার ভীড় করবেন না, সবাই পাবেন,
আজ আর সীমারেখার অভিযোগ নেই কারু প্রতি !
আমাদের হাঁস মুরগী আর মুসুরডালের সাথে গল্প করতে করতে
দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নেবার থেকে
বরং আসুন, দেখি
কীভাবে লেবা শাক খেতে খেতে লুঠ হয়ে যাচ্ছে
ঘুমন্ত কুন্ডলীর পাশে পাকিয়ে ওঠা কাচের বাড়ি
আর মাছের বউরা কানে কানে বলছে, দ্যাখো, দ্যাখো
বুক ফুলে উঠছে...
বিজনবাড়ি
প্রৌঢ় লোকটি আরও একটু হাসে
হাসিতে চুল খুলে যায় বটফলগুলোর...
কি চমৎকার মোহনার আগে ডোরাকাটা এই মায়াময়তা
আলো বেড়াতে চলেছে আয়ার সঙ্গে
হাতে এক গোছা অন্ধকার
প্রসূতির ভেতর চালের পুঁটুলির ভেতর খুব খিদের ভেতর
ছেলে মেয়ে বড় হচ্ছে আর
পেট কাটা পুংচিহ্নে যদি বলি বরফ পড়ছে !
হুরুদ্দুম হুরুদ্দুম
ছুটি এভাবেও আসছে
নিঃসঙ্গতা শব্দটার ওপর জল পড়তে পড়তে
ওমা, একটা শিরা বের করা রোগা হাতের নদী
উফ, এই ফুলহাতা পাখিদের রোদের পিঠ নিয়ে কি ভীষণ নখড়া বাবা !
কি জানতে? খুনী যে কোনও একটা জানলা দিয়েই পালাবে- তাই তো !
গরাদের গোলাকার জ্বর ঠোসা দুটোও তো সেকথা বলে
প্রৌঢ় আরও একটু হাসে
কোনো বাতাস বয়না ও হাসিতে, জলপ্রপাতও ভাঙেনা
আমি অভ্যস্ত ঘুমে থাকি
অথবা সারাটা দিন আমাকে নিয়েই খেলা করে বটফুলের মেয়েরা...
Review Comments
সোসাল মিডিয়া কামেন্টস