সিংদরোজা ও নষ্ট মনোভূমি



মাননীয়া অর্ধবয়সী ঝাঁঝালো রমনী অসময়ে নৈঃশব্দ থেকে

বেরিয়ে এলেন : এই যে বালক রবীন্দ্র, লিঙ্গহীন সঙ্কটমোচন

                         অনেক তো হেঁটেছ জ্যোত্স্নায়, তিক্ততায়, প্রতিরোজ

                                                       যন্ত্রণায় ফুঁ দিয়েছ, কু-আচারী

যৌবন আপাত শৃঙ্খলিত — এ-ও নয়, ও-ও নয়, আজ্ঞাচক্রে

আমৃত্যু অপর, ঘুমের ভিতর খুশদিল গুলশন গুলশন — ভঁওঅর ওড়ে —

                                       শিয়রে কৃশতনু মোমবাতি উলঙ্গফ্যাকাশে

চাই বা না চাই, শব্দের ভিতর শব্দ শেষ-অব্দি নিঃশব্দ

কর্দমে বীর্যমোক্ষণ বুকে নিয়ে পরমবিস্ময় হাজার আশরফি

যোনিসংলগ্ন দীর্ঘসূত্রী মায়াপদ্ধতির অন্তিম চুক্তিপত্র-নিয়ে ফনফনিয়ে ওঠে

                                      ভরপুর খুশি, চলে যায় মির্জা জৌক

                                                                      মির্জা গালিব —

নিজের পাশে নিজের জীবন্ত লাশ - বৃদ্ধ বয়সে ফিরে পাই বাল্যকাল,

আজ সারাটা বিকেল থম্ মেরে আছে মিথ্যা মোহ, জানি

বন্ধুরা সওয়াল করবেন : "কেন এত খ্যাতির বিড়ম্বনা ?"  মির্জা জৌক

গালিবকে বলেছিলেন : "তোমার নষ্ট জিভ — হাঁটু মুড়ে বসে ঈশ্বরের নাম নাও।"

মাননীয়া অর্ধবয়সী ঝাঁঝালো রমনীর বুকময় উষ্ণ জলাশয় — "কুল থেকে

অকুলে পৌঁছব" — উচ্চারণে আতঙ্কিত আতুরইচ্ছা অদৃশ্য হয়ে যেতে যেতে বললেন :

"শরীরের ভিতর অচেনা শরীর — তুমি তোমার মতই অতলস্পর্শ !"