রাদ আহমদ
লেখক / সংকলক : রাদ আহমদ
এমন একটা সাবকালচারে
রাদ আহমদ
এমন একটা সাবকালচারে আটকে আছি সোজা হথ্থ, দৃঢ়কল্প, হথ্থ মানে
হাত। এখনকার ইন্টারনেটে হথ্থ শব্দ পাওয়া যাবে কিনা
আবার থ এর সাথে থ মিলানো যুক্তাক্ষর আছে কিনা
বাংলা টাইপের সফটওয়্যারে - সেইটা নিয়ে ভাবি । এখনও গুড়ি গুড়ি
নানা ছোটো প্রাণী সারাদেশের আনাচে কানাচে যেমন আজকে সাদা ছাদে
শামুকের ছোটো ভার্সন
দৃঢ় দাঁড়ালে দেখা যায় তোমার মুখের চামড়ায় এত
তেলব মসৃণতা কেন দীপ্ত একটা পরিচ্ছন্নতা
একটা দীপ্ত ভালোবাসা ও সততা ও মানবিকতা
যা ইয়োরোপিয়ান এনলাইটেনমেন্ট না, বরং আমাদের নিজের
মানুষ যেমন মানুষ কুকুর যেমন কুকুর একটা
মানুষ যেমন স্বাভাবিক সময় কখনো
বেল পাড়বে না বেলের শরবত বানাবে না
মলিন কমলা রঙ
আবার বানাবে। আবার নিজের নিরাপত্তার কারণে
ঠকর ঠক্ ঠকর ঠক্ একটা হাতুড়ি উঠবে আবার
সেই হাতুড়ি নামবে
ইনস্ট্রাকশনের পরে ইনস্ট্রাকশনে তুমি
খাতার উপরে লিখতে থাকলে ছোটো বর্ণ
ছোটো ছোটো অক্ষরে মোটা চশমা থেকে
যাবে। তুমি চলে গেলে সে ও
একটা সাব কালচারে আটকে গেছে
পা না দিয়ে
পা না দিয়ে তা না করে
তা না না করে ভালো হয়েছে
এক টুকরা আকাশ পড়ে
আছে জমাট পানিতে সাথে লতানো গোছের পাতা, তার সাথে অস্কার ওয়াইল্ড
উনার সমস্ত উক্তি নিয়ে গল্প নিয়ে রুপালি কেলেংকারি নিয়ে যেগুলি
ঝুলতে থাকা দুল, টুপটাপ জমাট বাঁধা না বাঁধা পাখি
কিভাবে যে
সাদা গোলাপেকে লাল করিছে ভীষণ
বাউল এসেছে শরতের নীল
ছোট পাতা সাদা আকাশের ফাঁকে
তির তির। খুব বেশি হলে
এক ফুট লম্বা জমে থাকা কালচে পানিতে
'বিগ-ফুট' এসেছে বরফে যার পায়ে কাঁপা কাঁপা
দিনকে দিন টেবিলে প্রচণ্ড
ঘড়ি হয়েছে সুচারু সেকেণ্ডের আওয়াজের মধ্যে তুমি
বিকালের মানুষ হয়েছে পকেটে কমলা
চাপর মারিলে কী যে
নীরব আনন্দে চাপা আনন্দে ঝোপের
ঝাড় এসে দুলিছে বহুত আনন্দ হয়েছে
গান বরাবর টানা চর। বালুকাবেলার চর।
যা কিনা চাপা নির্জন
ভালো চোস্ত জামা পরা বিকালের মেয়েগুলি
ভালো চোস্ত জামা পরা বিকালের মেয়েগুলি
একটা জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করতেছে আর কিছু না
ইংরেজিতে বলা যেতে পারত, দে আর ট্রায়িং টু আর্ন এ লিভিং
তবে আমি বাংলাতেই মুড়ি খেতে দেখি একটা প্লাস্টিকের গোল বাক্সে ভরা
ভাতের বদলে মোটা মানুষটা দুপুরের
ইদ্দিশ ভাষাতে দেখি তোমার মস্তকচূর্ণ ছোপ ছোপ লেগে আছে
আধা ব্যস্ত গলিতে প্রচণ্ড বিকালের ছোপ
গড়াগড়ি যায় মোটামুটি আড়াই হাজার বছর আগেকার
ওল্ড টেস্টামেন্টে আধুনিক কবিতার
দু একটা লাইনের লাবণ্য লেগে আছে যা কানের দুই পাশ দিয়ে
গড়ায়ে পড়ার সময় জীবিকা
বসে আছে তৃতীয় তলায় আমি তার সাথে কথা
বলতে যাব কিছুক্ষণের মধ্যেই