প্রশান্ত বারিক
লেখক / সংকলক : iPatrika Crawler
প্রশান্ত বারিকের কবিতা
১)
আর দেখা হবেনা এই মুখ
দেহের যাবতীয় বর্ণমালা
গুহাচিত্র... হরপ্পান লিপি
সুদূরের ডাকে উড়ে যাব
উড়ুক্কুমাছ মানুষ ফানুস
পেছনে ফড়িং হাতছানি
চাঁদের পাহাড়ে হাই তোলে
নীলবর্ণ শেয়াল
গৃহস্থের আমগাছে ঠোঁট ঘষে
ময়ূরপুচ্ছ কাক
পিঠে গজালঠোকা, লহুলুহান পুরাণকাছিম
গুটি গুটি উঠে আসে
হারাধন পন্ডিতের টোলে
ব্যর্থতা ও হতাশার মাঝখানে
যে শব্দ লেখা হল না আজ
সেখানে তুমি রয়ে যেও...
২)
আজ ঈদ, ছাতারে পাখিরা খুব চেঁচাচ্ছে পাকুড়তলায়
আর সামনের রাস্তায় লাগামছাড়া মহিলারা
তিনতলা নতুন বাড়ির সাদ্দাম নামের ছেলেটা
কোর্নোভাইরাসে মারা যাওয়ার পর
পুরো গলি মহল্লা আতঙ্কে থম্ মেরে ছিল
কদিন পরেই নিকাহ হত তার
দুলহন - সাজসজ্জা - সবকিছুরই তৈয়ারি ছিল
আজ ঈদ
সাদ্দামের মা বাবা সুন্দরী তিন বোন কাঁদছে
জুনশেষের ভ্যাপসা গরমে ব্যালকনিতে বসে
আরাবল্লীর হাওয়া --- বাবুল পলাশের সুগন্ধও
ভাল লাগছিল না আর
বউকে বল্লাম , -- ' চলো - পাতালঘরে যাই! '
৩)
কবিতা লিখতে লিখতে হাজার বছর হুঁশ নেই,
রাজপাট ধন দৌলত -- সব লুঠ হয়ে গেছে
নিঃস্ব থেকে রাজা হয়ে
ফের এই ফকির জীবন
মহারাজা হরিশ্চন্দ্র'র মত নিজেকে বিকোতে গিয়ে
দেখি, বাজারে কানাকড়ি দাম নেই এখন -
৪)
গলায় চাইনিজ মাঞ্জার ফাঁস লেগে নিমগাছে ঝুলে থাকা
কাকটিকে ঘিরে কাঁও কাঁও শব্দে আকাশ ফাড়ছে
আরো অনেক কাক
আমার ছেলেদুটো বাঁশের ডগায় ধারালো কাটার বেঁধে
মৃতপ্রায় ঝুলন্ত কাকের গলার চাইনিজ ফাঁস কেটে
তাকে পুনর্জীবন দিল
তা দেখে আকাশের কাকেরা নিম ও শিরীষফুল বাতাসে ছড়ালো ---!